মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে বড় পরিবর্তন এনেছে। ডেমোক্রেটিক পার্টির অনেক কর্মকর্তা এবং দাতাদের অনুরোধে, ৮১ বছর বয়সী বাইডেন এবারের নির্বাচনে না দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার বয়স এবং ক্ষমতায় থাকার বিষয়টি নিয়ে দলের ভেতরে এবং বাইরের সমালোচনাও ছিল প্রবল।
বাইডেনের সরে দাঁড়ানোর পর ডেমোক্রেটিক পার্টির জন্য সম্ভাব্য নতুন প্রার্থী হিসেবে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের নাম উঠে এসেছে। বাইডেনের সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত দল এবং দেশের জন্য সঠিক পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। তবে কমলা হ্যারিসের মনোনয়ন প্রক্রিয়াও সহজ হবে না। দলের অভ্যন্তরে এবং ভোটারদের মধ্যে তার নেতৃত্ব নিয়ে নানা আলোচনা থাকবে।
জুলাই মাসটি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ঐতিহাসিক ছিল। রিপাবলিকান পার্টির কনভেনশনের প্রাক্কালে সুপ্রিম কোর্টের একটি বড় সিদ্ধান্ত এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যার চেষ্টা—এই সব ঘটনার প্রেক্ষাপটে বাইডেনের সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা এসেছে।
ট্রাম্পের সঙ্গে বাইডেনের প্রথম বিতর্কে বাইডেনের পারফরম্যান্স নিয়ে অনেকেই সন্তুষ্ট ছিলেন না। তার বয়স এবং শারীরিক সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল।
ডেমোক্রেটিক পার্টির জন্য এখন বড় চ্যালেঞ্জ হলো, কীভাবে নিজেদের নতুন করে পরিচিত করানো যায়। এবারের নির্বাচনে কমলা হ্যারিস প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে, তার রানিংমেট নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ হবে। মধ্যপশ্চিমের কিছু রাজ্য এবং স্বাধীন ভোটারদের সমর্থন পাওয়ার জন্য মিশিগানের গভর্নর গ্রেচেন হুইটমার, পেনসিলভানিয়ার জোশ শাপিরো, কেন্টাকির অ্যান্ডি বেসিয়ার এবং উত্তর ক্যারোলাইনার রয় কুপারকে সম্ভাব্য রানিংমেট হিসেবে বিবেচনা করা হতে পারে।
তবে বাইডেনের সরে দাঁড়ানোর পরও ডেমোক্রেটিক পার্টির জন্য অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে। তবে এক জিনিস পরিষ্কার, এই নির্বাচনের ফলাফল শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, বিশ্বের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ হবে। এবারের নির্বাচনে প্রার্থীদের পার্থক্য গভীর এবং আমেরিকানদের জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া খুবই চ্যালেঞ্জিং হবে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল