বিশালকৃতির ও দ্রুতধাবমান দাবানল কানাডার ঐতিহাসিক শহর জ্যাসপারের অর্ধেক পর্যন্ত ধ্বংস করতে পারে। এমনটাই বলছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, দমকলকর্মীরা যতোটা সম্ভব ভবনগুলো বাঁচানোর চেষ্টা করছে।
আলবার্টা প্রদেশের দাবানল পুরো রাস্তাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এক সময় দাঁড়িয়ে থাকা ভবনগুলো এখন ধ্বংসস্তুপ। সেখান থেকে ধোঁয়া উঠছে।
শীতল তাপমাত্রার কারণে বৃহস্পতিবার কিছুটা স্বস্তি মিললেও পার্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগুন এখনও নিয়ন্ত্রণের বাইরে। আরও উষ্ণ আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, প্রতিবেশী ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় শত শত সক্রিয় দাবানল রয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়া এবং উটাহসহ পশ্চিম মার্কিন রাজ্যগুলিতো আগুন জ্বলছে।
কানাডার পশ্চিমাঞ্চলীয় জ্যাসপার শহরটি আলবার্টা প্রদেশের জ্যাসপার ন্যাশনাল পার্কের মাঝে অবস্থিত। এই শহর ও পার্কে বছরে ২০ লাখের বেশি পর্যটকের সমাগম ঘটে। বর্তমানেও অনেক পর্যটক সেখানে গেছেন। তবে দাবানলের কারণে ১৫ হাজারের বেশি পর্যটককে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
জ্যাসপারে দাবানলে আগুনের শিখা ৪০০ ফুট উচ্চতায় উঠেছে এবং মিনিটে ১৫ মিটার বেগে ছড়িয়েছে বলে জানান স্থানীয় কর্মকর্তারা। অনলাইনে ছড়ানো ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, শহরের ভেতরে বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
জ্যাসপারের মেয়র রিচার্ড আয়ারল্যান্ড স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘শহরের এতো ক্ষয়ক্ষতি ভীষণ দুঃখজনক। তবে জনগণকে রক্ষা করা গেছে এটি আপাতত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’
আলবার্টায় বর্তমানে ১৭৬টি দাবানল সক্রিয় রয়েছে। এর মধ্যে ৫০টির বেশি নিয়ন্ত্রণের বাইরে। ২০১৬ সালে ফোর্ট ম্যাকমুরের তেল কেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডের পর জ্যাসপারের দাবানল আলবার্টায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকারক হতে পারে এবার। গত কয়েকদিনের দাবানলে শহরের অবকাঠামোর ১০ শতাংশ ধ্বংস হয়ে গেছে।
এদিকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে আলবার্টার দাবানল নিয়ন্ত্রণে সাড়া দেওয়ার জন্য সাহায্যকারীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। দেশের পাশাপাশি সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসা আন্তর্জাতিক দমকল কর্মীদেরও ধন্যবাদ জানান কানাডার প্রধানমন্ত্রী।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল