শুক্রবার তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান বলেছেন, ফ্রান্সকে সিরিয়া থেকে তার ‘জঙ্গি নাগরিকদের’ ফিরিয়ে নিতে হবে। তার দাবি, সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আঙ্কারা কুর্দি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিচ্ছে, সেখানে ওয়াশিংটনই তাদের একমাত্র মধ্যস্থতাকারী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান বলেন, শক্তিশালী বাশার আসাদের পতনের পর তুরস্কের একমাত্র লক্ষ্য হলো সিরিয়ায় "স্থিতিশীলতা" নিশ্চিত করা। তুরস্কের দৃষ্টিতে কুর্দি-নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেসও শত্রু তালিকায় রয়েছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, এসডিএফ গত এক দশক ধরে আইএস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কাজ করছে।
তবে তুরস্ক এই গোষ্ঠীটিকে তাদের শত্রু কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির সাথে যুক্ত বলেই মনে করে। ফলে সেখানে মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্র।
তুরস্কে পিকেকে কয়েক দশক ধরে বিদ্রোহ চালিয়ে আসছে। তুরস্ক এবং যুক্তরাষ্ট্র উভয়ই একে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করে। যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে এই অঞ্চলে তুর্কি আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য আলোচনার নেতৃত্ব দিচ্ছে।
তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, "আমাদের একমাত্র প্রতিপক্ষ হল যুক্তরাষ্ট্র... সত্যি বলতে, আমরা সেই দেশগুলিকে বিবেচনা করি না যারা মার্কিন শক্তির আড়ালে লুকিয়ে সিরিয়ায় তাদের নিজস্ব স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করে।’’
উত্তর-পূর্ব সিরিয়ায় ফরাসি-মার্কিন সেনা মোতায়েনের সম্ভাবনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ফ্রান্সের প্রধান কাজ হওয়া উচিত জঙ্গি কার্যকলাপের সাথে জড়িত থাকার কারণে সেখানে কারাবন্দী থাকা নাগরিকদের ফিরিয়ে নেওয়া। তিনি আরও বলেন, “ফ্রান্সের যদি কিছু করার থাকে, তাহলে তাদের নিজস্ব নাগরিকদের ফেরত নেওয়া উচিত, তাদের নিজস্ব কারাগারে নিয়ে আসা উচিত এবং তাদের বিচার করা উচিত।”
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল