ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) সিরিয়ার জ্বালানি ও পরিবহন খাতে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার পরিকল্পনা করছে। তবে আর্থিক লেনদেনে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তিনজন কূটনীতিক এবং একটি নথির বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।
ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা সোমবার ব্রাসেলসে একটি বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন। ইইউর পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান কাজা কাল্লাস বুধবার রয়টার্সকে জানান, তিনি আশা করছেন, বৈঠকে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার বিষয়ে একটি রাজনৈতিক সমঝোতায় পৌঁছানো যাবে।
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর ইউরোপের সিরিয়া সম্পর্কিত দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন এসেছে। গত ডিসেম্বর মাসে হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) নামে একটি গোষ্ঠী সিরিয়ার ক্ষমতা দখল করে। জাতিসংঘ পূর্বে এই গোষ্ঠীটিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছিল।
২০১৬ সালে এইচটিএস আল-কায়েদার সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ছিন্ন করে। ক্ষমতায় আসার পর তারা একটি রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেয়। এই প্রক্রিয়ায় সকল সিরিয়ান নাগরিকের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়ার হবে বলে বলা হচ্ছে।
ইইউ কর্মকর্তারা মনে করেন, পরিবহন খাত সচল হলে সিরিয়ার বিমানবন্দরগুলো পুনরায় কার্যক্রম শুরু করতে পারবে। এতে শরণার্থীদের দেশে ফেরার প্রক্রিয়া সহজ হবে। একইভাবে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহের উন্নতি দেশটির জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সহায়ক হবে এবং স্থিতিশীলতা বাড়াবে।
রয়টার্সে পাওয়া ইইউ নথি অনুযায়ী, ইইউর ২৭টি সদস্য রাষ্ট্রের কূটনীতিকরা দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করেছেন। তাদের মতে, সিরিয়ার অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও পুনর্গঠন প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য জ্বালানি ও পরিবহন খাতে নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করা জরুরি।
কূটনীতিকরা আরও বলেছেন, ইইউর নিষেধাজ্ঞা শিথিলের প্রক্রিয়াটি ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে এবং প্রয়োজনে এটি পুনর্বিবেচনা করা যেতে পারে। তবে এর শর্ত হিসেবে মানবাধিকার রক্ষা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক রূপান্তর নিশ্চিত করতে হবে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল