২০২৬ সালে জাতিসংঘের বাজেট ১৫ শতাংশ কমানোর প্রস্তাব করেছেন সংস্থাটির মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতির কারণে দীর্ঘস্থায়ী তারল্য সমস্যার ফলে এই প্রস্তাব দিয়েছেন আন্তোনিও গুতেরেস।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তর থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
জাতিসংঘের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, সংশোধিত বাজেট ৩.২৩৮ বিলিয়ন ডলার। এর ফলে ২৬৮১ জনকে চাকরি হারাতে হবে।
এর আগে গুতেরেস ২০২৬ সালের বাজেট ২০২৫ সালের সমান স্তরে রাখার প্রস্তাব করেছিলেন, যা প্রায় ৩.৭ বিলিয়ন ডলার।
তবে পরে তিনি সংস্থাকে আরো দক্ষ ও গতিশীল একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ইউএন ৮০ উদ্যোগের অংশ হিসেবে এই পরিমাণ কমানোর জন্য কাজ করেছিলেন।
মঙ্গলবার সদস্যরাষ্ট্র ও জাতিসংঘ কর্মীদের কাছে পাঠানো চিঠিতে মহাসচিব ঘোষণা করেছেন, নিয়মিত বাজেটের ১৫ শতাংশ এবং কর্মীসংখ্যার ১৯ শতাংশ কমানো হবে।
তিনি বলেন, কর্তনের প্রভাব জাতিসংঘের তিনটি স্তম্ভ-শান্তি ও নিরাপত্তা, মানবাধিকার এবং টেকসই উন্নয়নে প্রভাব পড়বে।
জাতিসংঘের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, জেনেভা এবং নিউইয়র্ক থেকে কমপক্ষে ২০০ জনকে নাইরোবির মতো কম ব্যয়বহুল শহরে স্থানান্তর করা হতে পারে।
প্রস্তাবিত বাজেটটি বছরের শেষের আগে সাধারণ পরিষদে ভোটাভুটির জন্য উপস্থাপন করা হবে।
কিছু সদস্য রাষ্ট্র তাদের বাধ্যতামূলক অবদান সম্পূর্ণরূপে পরিশোধ না করা এবং অন্যরা সময়মতো পরিশোধ না করায় জাতিসংঘ বছরের পর বছর ধরে দীর্ঘস্থায়ী তারল্য সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সাধারণত জাতিসংঘের নিয়মিত বাজেটের ২২ শতাংশ বহন করে, যা মূল সাংগঠনিক কার্যক্রমের জন্য অর্থ প্রদান করে এবং শান্তিরক্ষা বাজেট থেকে আলাদা।
জাতিসংঘের মতে, জানুয়ারির শেষে ওয়াশিংটনের কাছে ১.৫ বিলিয়ন ডলার বকেয়া ছিল, কিন্তু ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর থেকে কিছুই পরিশোধ করেনি।
সংস্থাটিতে ভবিষ্যতের মার্কিন অনুদান অনিশ্চিত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি জাতিসংঘ সংস্থা ত্যাগ করেছে এবং কংগ্রেস জুলাই মাসে পূর্বে অনুমোদিত তহবিল বাতিল করার পক্ষে ভোট দিয়েছে।
সূত্র : এএফপি
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত