শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

লিবিয়াকে ‘ব্যর্থ রাষ্ট্রে’ পরিণত করার দায় ক্যামেরনের

এমপি পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা

লিবিয়ায় হামলা চালিয়ে দেশটিকে একটি ব্যর্থ ও অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য যুক্তরাজ্যের সদ্য বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনকে দায়ী করেছে সে দেশের এক সংসদীয় কমিটি। বুধবার যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রবিষয়ক সংসদীয় কমিটির প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উপযুক্ত গোয়েন্দা তথ্য কিংবা কোনো ধরনের সমন্বিত পরিকল্পনা ছাড়াই লিবিয়াতে হামলা চালানো হয়েছে। লিবিয়ার শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে সরানো বিরাট বড় ভুল ছিল বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

মাস দুয়েক আগে যুক্তরাজ্যের ঐতিহাসিক চিলকট তদন্ত প্রতিবেদনে ২০০৩ সালে ইরাকে হামলার জন্য তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারকে দায়ী করে বলা হয়, ব্লেয়ার কোনো যথাযথ কারণ ছাড়াই সাদ্দাম হোসেনকে উত্খাতে ইরাক হামলায় যুক্ত হন। আলোচিত ওই তদন্ত প্রতিবেদনের পর এবার যুক্তরাজ্যের আরেক প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনকে লিবিয়ায় হামলার জন্য দায়ী করা হলো। ক্যামেরন ইরাক যুদ্ধের ভুল থেকে নেওয়া কোনো শিক্ষাই লিবিয়ার ক্ষেত্রে কাজে লাগাননি বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, লিবিয়ায় হামলার পর ক্ষমতা দখল না করার কৌশল নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এ কৌশল কোনো কাজে আসেনি।

গত ২৩ জুন যুক্তরাজ্যের মানুষ ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদের পক্ষে রায় দেওয়ায় ইইউপন্থি ডেভিড ক্যামেরন প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেন। চলতি সপ্তাহে তিনি সাংসদ পদ থেকেও পদত্যাগ করেন। ইইউর সঙ্গে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদ ঘটানোর জন্য দায়ী হিসেবে ইতিহাসে নাম লেখান ক্যামেরন। লিবিয়ায় হামলার কারণেও তাকে ইতিহাসের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

এদিকে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন তার এমপি পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। এর ফলে তার ছেড়ে দেওয়া উইটনি অক্সফোর্ডশায়ার আসনে উপনির্বাচন হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) যুক্তরাজ্যের থাকা না থাকার বিষয়ে গত জুনে অনুষ্ঠিত গণভোটের পর ক্যামেরন প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তবে সে সময় তিনি বলেছিলেন, আগামী সাধারণ নির্বাচন পর্যন্ত তিনি এমপি হিসেবে থাকবেন। ২০০১ সাল থেকে উইটনি থেকে কনজারভেটিভ পার্টির এমপি হয়ে আসছেন ক্যামেরন।

সর্বশেষ খবর