সিরিয়ার ভূখণ্ড কোনোভাবেই ভাগ হতে দেওয়া হবে না বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। ইসরায়েল রক্তপিপাসু ও সন্ত্রাসী রাষ্ট্র উল্লেখ করে তিনি বলেন, সিরিয়ার দ্রুজ জনগোষ্ঠীকে অজুহাত বানিয়ে দেশটিতে আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরায়েল। তিনি দৃঢ় ভাষায় জানিয়েছেন, সিরিয়ার ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষায় তুরস্ক কখনোই কোনো ধরনের বিভাজন মেনে নেবে না। বৃহস্পতিবার বার্তাসংস্থা আনাদোলু এজেন্সি তাদের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। আঙ্কারায় মন্ত্রিসভা বৈঠকের পর এক ভাষণে এরদোগান বলেন, ‘আমরা অতীতেও সিরিয়ার বিভাজনে সম্মতি দেইনি, এখনো দেব না, ভবিষ্যতেও দেব না।’ তিনি বলেন, ‘দুই দিন ধরে ইসরায়েল তার দস্যুবৃত্তিকে বৈধতা দিতে দ্রুজদের ব্যবহার করছে।’ -আনাদোলু এজেন্সি
তুর্কি প্রেসিডেন্ট হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘যারা ইসরায়েলের ওপর ভরসা করছে, তারা শিগগিরই বুঝতে পারবে- তারা ভয়াবহ ভুল করেছে।’ এরদোগান আরও বলেন, ‘ইসরায়েল একটি আইনবহির্ভূত, নীতিহীন, দাম্ভিক, লালসায় মগ্ন এবং রক্তপিপাসু সন্ত্রাসী রাষ্ট্র।’ তিনি বলেন, ‘একটি স্থিতিশীল সিরিয়া পুরো অঞ্চলের স্থিতিশীলতার জন্য জরুরি। অন্যথায় এর বোঝা সবাইকেই বহন করতে হবে।’ ‘যারা নিপীড়ন ও গণহত্যার মাধ্যমে নিরাপদ ভবিষ্যৎ খুঁজে পেতে চায়, তারা ভুলে যাবে না- তারা কেবল পথিক, আমরা এ ভূমির আসল মালিক, ’ বলেন এরদোগান। তিনি জানান, তুরস্ক সিরিয়ার পরিস্থিতির ওপর নিবিড়ভাবে নজর রাখছে এবং সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে। তুরস্কের মূলনীতি হলো- সিরিয়ার ভৌগোলিক অখণ্ডতা, জাতীয় ঐক্য, একক রাষ্ট্রীয় কাঠামো ও বহু-সাংস্কৃতিক পরিচয় রক্ষা করা। ‘আমাদের সম্মানজনক পররাষ্ট্রনীতি, শান্তি প্রচেষ্টা ও কূটনৈতিক উদ্যোগের মাধ্যমে তুরস্ক সবসময় শান্তির পক্ষেই থাকবে, ’ বলেন এরদোগান। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কারও প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করি না, কারও ওপর হিংসা করি না, কারও অধিকার বা সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করি না- আমরা কেবল শান্তি চাই।’