দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট পার্ক জিউন-হাইকে দুর্নীতির দায়ে অপসারণ করেছে দেশটির সাংবিধানিক আদালত। গত বছরের ডিসেম্বরে পার্লামেন্টে এক ভোটাভুটিতে পার্ককে অভিশংসনের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন সংসদ সংসদরা। পরে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব বর্তায় সাংবিধানিক আদালতের ওপর। তিন মাস পর গতকাল সাংবিধানিক আদালতও অভিসংশনের রায় বহাল রাখেন। ফলে ক্ষমতা থেকে উত্খাতে বাধ্য হলেন দেশটির প্রথম নির্বাচিত নারী প্রেসিডেন্ট পার্ক। সংবিধান অনুযায়ী এখন ৬০ দিনের মধ্যে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করতে হবে দেশটিকে। অভিশংসিত হওয়ায় প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়মুক্তির সুযোগও হারাচ্ছেন পার্ক। তাকে এখন দুর্নীতির দায়ে বিচারের মুখোমুখি করা যাবে। গতকাল সাংবিধানিক আদালতের রায়ের পর রাজধানী সিউলের বিভিন্ন সড়কে উল্লাসে মেতে ওঠেন পার্কের অপসারণ দাবিতে আন্দোলনকারীরা। অন্যদিকে সমর্থকরা আদালতের বাইরে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। পার্কের ছবি নিয়ে কাঁদতে দেখা যায় তাদের অনেককে। পুলিশের সঙ্গে তাদের ধস্তাধস্তিও হয়। রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপ জানায়, বিক্ষোভের মধ্যে অন্তত দুজনের মৃত্যু হয়েছে। সায়েনুরু পার্টির শীর্ষ নেতা পার্ক জিউন-হাই ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ কোরিয়ার একাদশ প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন। দায়িত্ব নেওয়ার সময় তুমুল জনপ্রিয়তা থাকলেও ২০১৪ সালে সিউলে ফেরিডুবির ঘটনায় ৩০৪ জনের মৃত্যুর পর তার এবং দলের জনপ্রিয়তা কমতে থাকে। সরকার ত্বরিত ব্যবস্থা না নেওয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়েছে বলে তখন বিরোধী দলগুলো অভিযোগ করেছিল। ব্যক্তিগত লাভের লক্ষ্যে এক পুরনো বন্ধুকে সুবিধা পাইয়ে দিতে রাজনৈতিক ক্ষমতা ও প্রভাব-প্রতিপত্তি ব্যবহার করেছেন এমন অভিযোগে গত বছরের মাঝামাঝিতে সংসদে ও রাজপথে পার্কের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়। তিনি পদত্যাগ করতে চাইলেও বিরোধীরা তার বিরুদ্ধে অভিশংসনের প্রস্তাব আনে। গত বছর ৯ ডিসেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্টে ওই প্রস্তাব ২৩৪-৫৬ ভোটে অনুমোদন পায়। পার্লামেন্টের অভিশংসনের পর পার্কের ক্ষমতা চলে যায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে। শুক্রবার নয় সদস্যের সাংবিধানিক আদালত অভিশংসনে চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়। অপরদিকে, পার্ক ও তার বন্ধু চই দুজনই তাদের বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। চলতি বছরের শুরুতেও পার্ক বলেছেন, তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ ‘মিথ্যা ও সাজানো’। একই আর্থিক কেলেঙ্কারিতে গত ফেব্রুয়ারিতে স্যামসাংয়ের শীর্ষ নির্বাহী জে ওয়াই লিকে আটক করা হয়। মার্চের ৬ তারিখ দক্ষিণ কোরীয় আদালতের এক বিশেষ প্রসিকিউটর জানান, স্যামসাংয়ের কাছ থেকে চই-এর ঘুষ নেওয়ার সঙ্গে পার্কেরও সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। এ কারণে চূড়ান্তভাবে অভিশংসিত হওয়ার পর পার্ককে বিচারের মুখোমুখি করা হবে বলে ইঙ্গিত দেন তিনি। ঘুষ ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে স্যামসাং প্রধানেরও বিচার শুরু হয়েছে। বিবিসি
শিরোনাম
- সব ধরনের কাউন্টার সেবা বন্ধ করলো বাংলাদেশ ব্যাংক
- শীতের দিনেও ব্যায়াম, যা খেয়াল রাখা জরুরি
- প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান
- মুখে বলিরেখা সমস্যার প্রাকৃতিক সমাধান
- বিশ্বকাপ : বাংলাদেশের সামনে পড়তে পারে ইতালি
- শুল্কের হুমকি দিয়ে আট যুদ্ধের পাঁচটিই থামিয়েছি: ট্রাম্প
- নির্বাচনী হলফনামায় বিদেশি সম্পদের বিবরণীও বাধ্যতামূলক: দুদক চেয়ারম্যান
- হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা
- ভারতীয় খাসিয়াদের গুলিতে প্রাণ গেল সিলেটের যুবকের
- বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
- টেস্টে নতুন উচ্চতায় তাইজুল
- ঢাকা উত্তরে প্রথম কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের যাত্রা শুরু
- সার উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের নতুন দাম ঘোষণা আজ
- শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু
- হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ
- ভিকারুননিসায় রবিবারের সব পরীক্ষা স্থগিত
- ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
- টিভিতে আজকের কোন খেলা কোথায় দেখবেন
- ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা
- আজ ঢাকার বাতাসের মান কেমন?
অবশেষে ক্ষমতাচ্যুত হলেন দক্ষিণ কোরিয়ার পার্ক
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর