রবিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

উ. কোরিয়ার ওপর জাতিসংঘের নতুন অবরোধ

পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি

উদ্বেগজনক পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি ঘিরে উত্তর কোরিয়ার ওপর নতুন করে অবরোধ আরোপ করেছে জাতিসংঘ। স্থানীয় সময় শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের  উত্থাপিত একটি নিষেধাজ্ঞা প্রস্তাব জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ১৫-০ ভোটে পাস হয়। পিয়ংইয়ংয়ের প্রধান ব্যবসায়িক অংশীদার চীন ও রাশিয়াও প্রস্তাবনাটির পক্ষে ভোট দিয়েছে। প্রস্তাবনাটি পাস হওয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক টুইট বার্তায় জাতিসংঘের প্রশংসা জানিয়েছেন।

জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইতিমধ্যে উত্তর কোরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এসব নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই পিয়ংইয়ং একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েই যাচ্ছে। উত্তর কোরিয়া সর্বশেষ গত ২৮ নভেম্বর একটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের জাপানের ওপর দিয়ে এর উপকূলবর্তী সমুদ্রে নিক্ষেপ করে। পিয়ংইয়ংয়ের তরফে মূলত এ কর্মকাণ্ডের জবাবেই জাতিসংঘে নতুন নিষেধাজ্ঞা প্রস্তাবনাটি আনে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন নিষেধাজ্ঞায় উত্তর কোরিয়ার কাছে পেট্রল বিক্রি ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে ফেলার কথা বলা হয়েছে। এ হিসেবে দেশটির পেট্রল ও পেট্রলজাত পণ্য আমদানির সীমা বছরে ৫ লাখ ব্যারেল এবং অপরিশোধিত তেল আমদানি বার্ষিক ৪ মিলিয়ন ব্যারেল বেঁধে দেওয়া হয়েছে। বিদেশে কর্মরত সব উত্তর কোরীয়দের আগামী দুই বছরের মধ্যে দেশে ফিরে আসতে হবে বলেও এ প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে। প্রবাসীদের পাঠানো অর্থই পিয়ংইয়ংয়ের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের একটি বড় উৎস। এছাড়া নতুন প্রস্তাবনায় উত্তর কোরিয়ার পণ্য যেমন মেশিনারি ও বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা পাস করে জাতিসংঘের ভোটদানে বিশ্ব যে লাশ নয়, বরং শান্তি চায় তা প্রমাণিত হয়েছে বলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এক টুইটবার্তায় জানিয়েছেন। পিয়ংইয়ং সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালিও এক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, ফের বেপরোয়া আচরণ করলে দেশটি আরও শাস্তি পাবে এবং বিশ্ব থেকে আরও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। পিয়ংইয়ংকে আধুনিক বিশ্বের সবচেয়ে করুণ শয়তান হিসেবেও আখ্যায়িত করেছেন রাষ্ট্রদূত হ্যালি। ব্রিটিশ সরকারের তরফেও পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে জানানো হয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন একে উ. কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচি নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। বিবিসি।

সর্বশেষ খবর