ন্যাটো জোটের শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে ব্রাসেলসে গেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেখানে গতকাল পৌঁছে তার মিত্রদের সম্পর্কে যেসব মন্তব্য করেছেন, তাতে জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে আবারও শঙ্কা তৈরি হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জোটের অন্যতম সদস্য দেশ জার্মানির তীব্র সমালোচনা করে বলেন, জার্মানিকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করে রাশিয়া। তিনি বলেন, গ্যাস চুক্তি করে জার্মানি রাশিয়াকে শত শত কোটি ডলার দিচ্ছে, অথচ ন্যাটোর সদস্য হিসেবে প্রতিরক্ষা খাতে জার্মানির যা খরচ করার কথা, তার অর্ধেকও তারা করে না। আর তার এ বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে। এদিকে ট্রাম্পের কঠোর সমালোচনার জবাবে ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক কটাক্ষ করেন, তিনি (ট্রাম্প) ‘প্রায় রোজই’ ইউরোপের সমালোচনা করছেন। টাস্ক বলেন, ‘প্রিয় আমেরিকা, মিত্রদের বাহবা দাও। কারণ, মোটের ওপর তোমার তেমন মিত্র তো নেই।’ ইইউ প্রতিরক্ষা খাতে রাশিয়ার চেয়ে বেশি এবং চীনের সমান ব্যয় করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এর আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভবিষ্যদ্বাণী করেন, আগামী সোমবার ফিনল্যান্ডে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তার শীর্ষ বৈঠকের চেয়ে ন্যাটোর সঙ্গে বৈঠক কঠিন হবে। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, যেভাবে ট্রাম্পের আমলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মিত্রদের ফারাক বেড়ে চলেছে, তাতে এই প্রতিরক্ষা জোট কি আদৌ টিকবে? এ ব্যাপারে বিবিসির কূটনৈতিক সংবাদদাতা জোনাথান মার্কাস বলেন, মূলত তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের যে কোনো ধরনের আক্রমণ প্রতিরোধের জন্যই গঠন করা হয়েছিল ন্যাটো জোট। কিন্তু স্নায়ু যুদ্ধ যখন থেমে গেল, ন্যাটো জোটের উদ্দেশ্যও কিছুটা বদলে গেল। ইউরোপে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য ন্যাটো জোটে অন্তর্ভুক্ত করা হলো নতুন অনেক দেশকে। তবে ন্যাটো জোটকে কেবলমাত্র একটি সামরিক প্রতিরক্ষা জোট ভাবলে ভুল করা হবে। এটি আসলে তার চেয়ে বেশি কিছু। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এটির সেই গুরুত্ব যেন মারাত্মকভাবে খর্ব হতে চলেছে। বিবিসি
শিরোনাম
- আমার ছেলের খুনীর ফাঁসি যেন দেখে যেতে পারি: আবু সাঈদের বাবা
- দিল্লি বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫, গ্রেফতার আরও এক কাশ্মীরি
- মালয়েশিয়ায় শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন সাইবারজায়া ইউনিভার্সিটি
- আফ্রিকার ছয় দেশে আছে রুশ সেনার উপস্থিতি: রাষ্ট্রীয় টিভি
- ‘খালেদা জিয়াকে দেশের সেরা জয় উপহার দিতে চাই’
- উইঘুর যোদ্ধাদের চীনের কাছে হস্তান্তর করবে সিরিয়া
- ‘একটি দল ক্ষমতায় যেতে প্রলাপ বকছে’
- সিরিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় পাশে থাকবে চীন
- বগুড়ায় কোলগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে জরাজীর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান
- শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত
- মোংলায় জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকরণ বিষয়ক সমন্বয় সভা
- আকাশ প্রতিরক্ষা ও যুদ্ধবিমান চুক্তি চূড়ান্ত করতে ফ্রান্সে জেলেনস্কি
- অস্ট্রেলিয়ায় বিএনপির জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন
- ভারতের চা, মশলা, আমসহ কয়েকটি পণ্যে শুল্ক প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প
- নওগাঁর মান্দায় ধানের শীষে ডা. টিপুর নির্বাচনী পথসভা
- পাঙ্গাস পোনা শিকারের দায়ে জেলের কারাদণ্ড
- পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মিলন কারাগারে
- রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক
- নির্বাচনের আগেই হাসিনাকে দেশে এনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দাবি সারজিসের
- কলাপাড়ায় অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে ৫ জন হাসপাতালে