দুর্নীতি ইস্যুকে কেন্দ্র করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতার বাগ্যুদ্ধ আপাতত থামার কোনো লক্ষণ নেই। বরং এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে সরগরম হয়ে উঠতে চলেছে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনী ময়দান। নরেন্দ্র মোদির বক্তব্য, ‘চৌকিদার কাউকে ছেড়ে দেবে না।’ আর এতেই স্পষ্ট চিটফান্ড তদন্ত প্রক্রিয়া থামার কোনো প্রশ্নই নেই, উল্টো আরও গতি পেতে চলেছে। সম্প্রতি কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার-কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই ইস্যুতে কলকাতার মেট্রো চ্যানেলে ধরনায় বসেছিলেন মমতা। মমতার ওই ধরনা নিয়ে কটাক্ষ করে শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়িতে এক জনসভা থেকে মোদি বলেন, ‘দেশের ইতিহাসে এই প্রথমবার দেখা গেল যে, একজন মুখ্যমন্ত্রী হাজার হাজার মানুষের অর্থ লুটকারীদের বাঁচাতে ধরনায় বসেছেন। মহাত্মা গান্ধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সত্যাগ্রহ করেছিলেন। নেতাজি দেশকে স্বাধীন করার জন্য বিদেশ থেকে আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। আর আজ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী সত্যাগ্রহের নামে গরিবদের অর্থ লুটকারীদের বাঁচাতে নেমেছেন। মোদির প্রশ্ন চিটফান্ড তদন্ত নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কেন উদ্বিগ্ন চৌকিদার এদের কাউকে ছাড়বে না।’ বিকালে মোদির এই আক্রমণের পরই বিকালে সংবাদ সম্মেলন কওে মোদিকে নিশানা করতে ছাড়েননি মমতা। নোট বাতিল, রাফাল ইস্যুতে পাল্টা কটাক্ষ করে মমতা বলেন, ‘তিনি হলেন মাস্টার অব করাপশন... মাস্টার অব ডিমনিটাইজেশন... তিনি হলেন মাস্টার অব অ্যারোগেন্স।’ এদিনের জনসভা থেকে সারদা, নারদা আর্থিক কেলেঙ্কারি নিয়ে মোদির তোপ ‘সারদা, নারদা, রোজভ্যালিতে ক্ষতিগ্রস্ত সব পরিবারকে আশ্বাস দিতে চাই যে, এই চৌকিদার তাদের কাউকে ছাড়বে না।’ উল্টো মোদিকেই দুর্নীতিগ্রস্ত বলে কটাক্ষ করে মমতা বলেছেন, ‘আমাদেরটা ছিল সত্যাগ্রহ, ওটা রাজনৈতিক ছিল না। আসলে তিনি ভয় পেয়েছেন বলেই... ভয় না পেলে কাকে ভয় দেখাবেন। নির্বাচনের আগে চাওয়ালা আর নির্বাচনের পর রাফাল ওয়ালা। এখন তো সবাই ডাকছেন মি. রাফাল। ম্যাগি বাবু কেমন আছেন?’