শনিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

রাশিয়ার নতুন ক্ষেপণাস্ত্র বদলে দিতে পারে বিশ্ব

রাশিয়ার নতুন ক্ষেপণাস্ত্র বদলে দিতে পারে বিশ্ব

স্নায়ুযুদ্ধের সময় রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্র সীমিত রাখার যে চুক্তি তা থেকে প্রথমে আমেরিকা ও পরে রাশিয়া বের হয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়। আর এর ফলে বিশ্বে এ দুই দেশের মধ্যে ফের ভয়ঙ্কর অস্ত্র তৈরির প্রতিযোগিতা শুরু হলো। সম্প্রতি রাশিয়া নতুন ধরনের এক হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। যাকে বলা হচ্ছে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র। এই নতুন ক্ষেপণাস্ত্রের নাম আভনগার্ড হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র। যেটি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের সামরিক শক্তির ভারসাম্য পুরোপুরি পাল্টে দিতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এটি চলে শব্দের চেয়ে ২০ গুণ বেশি গতিতে। রুশ সামরিক বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন, এটি বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে গিয়ে হামলা করতে সক্ষম এবং একে ঠেকানোর মতো প্রযুক্তি এখন পর্যন্ত কারও হাতে নেই। সম্প্রতি রাশিয়া এই নতুন ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে পরীক্ষামূলকভাবে। রাশিয়ার দক্ষিণ-পূর্বের উরাল পর্বতমালা থেকে এটি উৎক্ষেপণ করা হয়, এরপর এটি গিয়ে আঘাত করে ৬ হাজার কিলোমিটার দূরে দূরপ্রাচ্যের কানচাকায়।

ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সঙ্গে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পার্থক্য কী : ব্রিটিশ আমেরিকান সিকিউরিটি ইনফরমেশন কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পল ইংগ্রাম বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ব্যাখ্যা করেছেন, ব্যালাস্টিক মিসাইলের সঙ্গে হাইপারসনিক মিসাইলের পার্থক্য। এখন যে ধরনের ব্যালাস্টিক মিসাইল প্রচলিত, সেগুলো ছোড়া হয় রকেটের মতো। ফলে একবার উৎক্ষেপণ করার পর এর ট্র্যাজেক্টরি বা সম্ভাব্য গতিপথ মোটামুটি অনুমান করা যায়। শত্রুপক্ষ তখন সে অনুযায়ী তাদের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা দিয়ে এই ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসের চেষ্টা করতে পারে। কিন্তু হাইপারসনিক মিসাইলের প্রযুক্তি একেবারেই ভিন্ন ধরনের। এটি উৎক্ষেপণের পর খুব দ্রুত ওপরে উঠে যায়। তারপর আবার দ্রুত নেমে আসে। এরপর আনুভূমিকভাবে এটি বায়ুম লের মধ্যেই চলতে থাকে। চলমান অবস্থায়ও এর গতিপথ পরিবর্তন করা যায়।

সর্বশেষ খবর