প্লেগের কারণ ইহুদিরা : ১৪ শতকে ইউরোপে প্লেগ ছড়িয়ে পড়ে। কারও জানা ছিল না কোথা থেকে এর উৎপত্তি। একটা সময়ে গুজব ছড়িয়ে পড়ে ইহুদিরা পরিকল্পিতভাবে এই রোগ ছড়িয়েছে। প্লেগের পেছনে আছে ইহুদিরাই; এমন বিশ্বাস থেকে বিভিন্ন জায়গায় তাদের ওপর নির্যাতন শুরু হয়। জোর করে উচ্ছেদও করা হয় অনেককে।
স্পানিশ ফ্লু জার্মানির অস্ত্র : ১৯১৮ থেকে ১৯২০ সালে স্প্যানিশ ফ্লু প্রায় আড়াই কোটি থেকে পাঁচ কোটি মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয়। ১৯৩০ সাল পর্যন্ত এই ভাইরাসের উদ্ভব রহস্য হয়ে ছিল। অনেকে মনে করতেন জার্মান সেনাবাহিনী অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য এই জীবাণু আবিষ্কার করে।
এইডস ছড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র : ১৯৮০-এর দশকে যুক্তরাষ্ট্রে এইডস ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ১৯৮৩ সালে এ নিয়ে গুজব ছড়াতে শুরু করে সোভিয়েত গোয়েন্দা বাহিনী কেজিবি। বলা হয়, ফোর্ট ড্রেট্রিকে জীবাণু অস্ত্র হিসেবে মার্কিনিরা এইচআইভি উদ্ভাবন করেছিল, যা পরবর্তীতে প্রয়োগ করা হয় বন্দী, সংখ্যালঘু আদিবাসী সম্প্রদায় এবং সমকামীদের ওপর। এই ষড়যন্ত্র তত্ত্বটি আজও জনপ্রিয়।ইবোলার দায় যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের : নব্বইয়ের দশকে এইডস অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করে। কিন্তু এ সময় আফ্রিকায় নতুন করে ইবোলা ছড়িয়ে পড়ে। যুক্তরাষ্ট্র এইডস ছড়িয়েছে এমন ষড়যন্ত্র তাত্ত্বিকরা এবার দাবি করল ইবোলার জন্যও তারাই দায়ী। সঙ্গে অবশ্য ব্রিটেনকেও জড়ানো হলো।
পেন্টাগনের এঁটেল পোকা প্রকল্প : ২০১৯ সালে রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান ক্রিস স্মিথ দাবি করেন পেন্টাগন এঁটেল পোকাসহ বিভিন্ন কীটের মাধ্যমে জীবাণু অস্ত্র তৈরির প্রকল্প চালিয়েছে। এই গবেষণা চলেছে ১৯৫০ থেকে ১৯৭৫ সালের মধ্যে। স্মিথ সম্প্রতি এ নিয়ে একটি বইও লিখেছেন।
কভিড-১৯ কৃত্রিমভাবে ছড়ানো : ডিজিটাল যুগে যে কোনো ভুল তথ্য আগের চেয়েও দ্রুত ছড়ায়। বিভিন্ন রোগের কারণ হিসেবেই যুক্তরাষ্ট্রের গোপন জীবাণু অস্ত্র কর্মসূচির কথা বারবার সামনে আসে। একইভাবে এবার ষড়যন্ত্র তত্ত্বপ্রেমীদের দাবি নভেল করোনাভাইরাস চীনের কোনো গবেষণাগারে কৃত্রিম উপায়ে তৈরি করা হয়েছে। সেখান থেকেই তা পরে সারা বিশ্বে ছড়িয়েছে। কেউ কেউ দাবি করছেন যুক্তরাষ্ট্রই জীবাণুটি তৈরি করে চীনে পাঠিয়েছে। যদিও এসব দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ নেই।