শিরোনাম
শনিবার, ২৩ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

অর্থনীতিতে বদল আনছে চীন

অর্থনীতিতে বদল আনছে চীন

করোনা বিশ্বের সব কিছুকে নছনছ করে দিয়েছে। ফলে চলতি বছর কোনো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির টার্গেট রাখছে না চীন। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আপাতত লক্ষ্য একটাই। সকলে যাতে কাজ করতে পারেন এবং জীবনের মান যেন আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা যায়, সেটা দেখা। ২০২১ সালে সব কিছু গুছিয়ে নিয়ে ফের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির টার্গেট ঠিক করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

এ দিকে ব্রাজিলের পরিস্থিতি গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ভয়াবহ হয়েছে। এক দিনে করোনায় মৃত্যু হয়েছে হাজারেরও বেশি মানুষের। অর্থনৈতিকভাবে এ মুহূর্তে বিশ্বের দ্বিতীয় শক্তিশালী দেশ চীন। ১৯৯০ সাল থেকে প্রতি বছর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির টার্গেট তৈরি করে দেশটি। এবং সেই মতো বাজেট প্রস্তুত হয়। গত ৩০ বছরে এই প্রথম সেই টার্গেট ঠিক করা হলো না। চীন আগেই জানিয়েছিল, করোনার কারণে দেশের অর্থনীতি নিম্নগামী হয়েছে। প্রথম কোয়ার্টারে প্রবৃদ্ধিও কমেছিল। সে কথা মাথায় রেখে এবং জনজীবনে গতি আনতেই এ বছর চীন এই ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত নিল বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদদের একাংশ।

এ দিকে ব্রাজিলের পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। এখন পর্যন্ত সে দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২০ হাজার ৮২ জনের। মোট আক্রান্ত প্রায় তিন লাখ ১১ হাজার। গত ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ১৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। যে হাওে সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে আগামী এক দিনে তারা রাশিয়াকেও ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই মুহূর্তে করোনা আক্রান্তের তালিকায় শীর্ষে আমেরিকা। তারপর রাশিয়া। তিন নম্বরে ব্রাজিল। করোনার সংকট এখনো কাটেনি আমেরিকায়। তার মধ্যেই অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে ক্রমশ জীবনযাত্রা স্বাভাবিক করা হচ্ছে। এরই মধ্যে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, করোনায় মৃত ব্যক্তিদের প্রতি সম্মান জানাতে দেশের পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। দেশের মানুষের দ্রুত সুস্থতাও কামনা করেছেন তিনি।

করোনাকালে সামান্য উত্তেজনা তৈরি হয়েছে অস্ট্রেলিয়া এবং যুক্তরাজ্যেও। যুক্তরাজ্য বিদেশ থেকে আসা যে কোনো ব্যক্তিকে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক আইসোলেশনে রাখছে। অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, তাদেও দেশের নাগরিকদের এর থেকে মুক্তি দেওয়া হোক। কারণ, করোনা মোকাবিলায় যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে অস্ট্রেলিয়া। দেশ থেকে করোনা প্রায় নির্মূল করে ফেলেছে তারা। ফলে তাদেও দেশের নাগরিকদের মধ্যে সংক্রমণ থাকার সম্ভাবনা খুবই কম। যদিও অস্ট্রেলিয়া বিদেশি নাগরিকদের কার্যত ঢুকতেই দিচ্ছে না দেশে। বাইওে থেকে কেউ এলেই তাকে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক আইসোলেশনে পাঠানো হচ্ছে।

অন্যদিকে করোনা মোকাবিলায় ইউক্রেন এবং ইন্টারন্যাশনাল মানেটরি ফান্ডের (আইএমএফ) একটি চুক্তি হতে চলেছে। দুই পক্ষই চুক্তির বিষয়ে আশা প্রকাশ করেছে। এর ফলে আইএমএফ কিয়েভকে পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ সাহায্য করবে। করোনার সঙ্গে লড়াই করতেই এই প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে বলে আইএমএফ-এর তরফে জানানো হয়েছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর