শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

পরাজিত হলে ট্রাম্পের ‘কোর্ট ভাবনা’

লাবলু আনসার, যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি

পরাজিত হলে ট্রাম্পের ‘কোর্ট ভাবনা’

আগেও বলেছিলেন এখনো বলছেন নভেম্বরের নির্বাচনে পরাজিত হলে সহজভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন না। ইনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ক্ষমতা যে স্বাভাবিকভাবে হস্তান্তর করবেন না এমন ইঙ্গিত দিয়ে গতকাল সাংবাদিকদের কাছে তিনি বক্তব্য রেখেছেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, আমরা দেখব আসলে কী ঘটে, এটা আপনারা জানেন। তিনি মনে করেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টে। এ সময় তিনি আবারও পোস্টাল মাধ্যমে ভোট নেওয়ার ওপর সংশয় প্রকাশ করেন। উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস থেকে মার্কিনিদের নিরাপদ রাখার জন্য অনেক রাজ্যকেই মেইল ইন ভোটিংয়ের জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে।

আগামী ৩ নভেম্বর হতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাট দলের প্রার্থী জো বাইডেন। ট্রাম্পের বক্তব্যে তার ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠল। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এবার আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি ভোট ডাকযোগে (মেইল ইন ভোট) দেওয়া হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, আপনারা জানেন আমি শক্তভাবেই ডাকযোগে ভোট নিয়ে অভিযোগ করেছি। এই প্রক্রিয়া দুর্যোগপূর্ণ। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ভাষ্য, চলমান করোনা মহামারীর সময় ডাকযোগে বর্ধিত ভোট না হলে ক্ষমতা হস্তান্তরেরই কোনো দরকার হতো না। ডাকযোগের ব্যালট না থাকলে সবই শান্তিপূর্ণ হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ক্ষমতা হস্তান্তরেরই প্রয়োজন হবে না।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারাভিযানের একেবারে প্রথম থেকেই ডাকযোগে ভোট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ভোটের এ ব্যবস্থাকে ত্রুটিপূর্ণ ও বিতর্কিত দাবি করে তা বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। যদিও শেষ পর্যন্ত তার এমন প্রচেষ্টা বাতিল হয়, কারণ পার্লামেন্ট এ সংক্রান্ত এক প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে। সেই সঙ্গে বিরোধী ডেমোক্র্যাট ও বিশ্লেষকদের বক্তব্য, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নির্বাচনে সুবিধা পেতেই মেইল ইন ভোটের বিরোধিতা করে আসছেন।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে সাধারণত সাপ্তাহিক কর্মদিবসে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তাই  অনেকের পক্ষেই এদিন ভোট দেওয়া সম্ভব হয় না। এ চিন্তা থেকেই  তাদের ভোটদানের সুবিধার্থে ডাকযোগে ভোট পদ্ধতি চালু হয়। তবে শুধু যে কর্মজীবীরা এ ব্যবস্থায় ভোট দেন তা নয়, বয়স্ক-অসুস্থ ব্যক্তিরা এর সুবিধা নিয়ে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। সেই সঙ্গে এবার করোনা মহামারীর কারণে অনেকেই আগেভাগে মেইল ইন ভোটের সুবিধা নেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট দলের প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের বিরুদ্ধে নির্বাচনের ফল মেনে নিয়ে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন ট্রাম্প।

সর্বশেষ খবর