নানাভাবে নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার চীনের শিনজিয়াং প্রদেশের উইঘুর মুসলিমরা। এবার তাদের নিয়ে নতুন কৌশল নিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। আদি আবাসভূমি থেকে তাদের অনেক দূরে কাজের জন্য পাঠিয়ে দিচ্ছে চীনা কর্তৃপক্ষ। তবে পশ্চিমাঞ্চলের বাসিন্দাদের মধ্যে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর অনুপাত বদলে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে কি না, এমন প্রশ্ন করা হলে চীন সরকার তা অস্বীকার করছে। তারা বলছে, গ্রামীণ এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা বেকারত্ব এবং দারিদ্র্য দূর করার লক্ষ্যে এসব চাকরি ও বদলির পরিকল্পনা করা হয়েছে। সাক্ষ্য-প্রমাণ দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি বলছে, এই নীতিতে জোর খাটানোর উচ্চ ঝুঁকি রয়েছে। গত কয়েক বছরে শিনজিয়াং প্রদেশজুড়ে যেসব পুনঃশিক্ষণ শিবির গড়ে তোলা হয়েছে তার পাশাপাশিই এ চাকরির পরিকল্পনা করা হয়েছে সংখ্যালঘুদের জীবনধারা ও চিন্তাভাবনায় পরিবর্তন আনার জন্য। জরিপটি শুধু চীনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরই দেখার কথা। কিন্তু দুর্ঘটনাবশত তা অনলাইনে এসে যায়। ২০১৭ সালে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি পরিচালিত টিভি চ্যানেলে একটি ভিডিও রিপোর্ট প্রচারিত হয়, যা এখনো কোনো আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে দেখানো হয়নি। এতে দক্ষিণ শিনজিয়াংয়ের একটি গ্রামের কেন্দ্রস্থলে একদল সরকারি কর্মকর্তাকে লাল ব্যানারের সামনে বসে থাকতে দেখা যায়। ব্যানারে ছিল, আনহুই প্রদেশে কিছু চাকরির বিজ্ঞাপন। যা ওই গ্রাম থেকে চার হাজার কিলোমিটার দূরে। পুরো দুই দিন পার হলেও ওই গ্রাম থেকে একজনও চাকরির ব্যাপারে আগ্রহ দেখায়নি। তখন কর্মকর্তারা বাড়ি বাড়ি যেতে শুরু করলেন। এরপর দেখা যায়, কীভাবে উইঘুর কাজাখ ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ব্যাপকভাবে শ্রমিক হিসেবে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ভিডিওতে দেখা যায়, বুজায়নাপ নামের ১৯ বছরের এক তরুণীকে চাপের মুখে চাকরির জন্য আনহুইতে যেতে বাধ্য করা হয়। ভিডিও শেষ হয় মায়ের কাছ থেকে মেয়ের অশ্রুভেজা বিদায় নেওয়ার মধ্য দিয়ে। বুজায়নাপ ও অন্যরা তাদের পরিবার এবং সংস্কৃতি পেছনে ফেলে রেখে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে মানবাধিকার ও সমকালীন দাসত্ব বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ও শেফিল্ড হাল্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক লরা মার্ফি বলেন, ‘ভিডিওটা সত্যি চমকপ্রদ। চীনা সরকার সব সময়ই বলছে যে, লোকেরা স্বেচ্ছায় এসব কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছে। কিন্তু এই ভিডিওতে স্পষ্টভাবে বেরিয়ে এসেছে যে, এটা এমন এক পদ্ধতি যেখানে জোর খাটানো হচ্ছে এবং কাউকে এতে বাধা দিতে দেওয়া হচ্ছে না।’ চীনা রিপোর্টটি ২০১৯ সালে ভুলবশত অনলাইনে প্রকাশ করে দেওয়া হয়, তবে কয়েক মাস পরে আবার মুছে দেওয়া হয়। নানকাই বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষাবিদের তৈরি এ রিপোর্টে গণহারে শ্রমিকদের বদলিকে উইঘুরদের চিন্তায় পরিবর্তন আনা এবং তাদের প্রভাব বিস্তার করে বাকি সমাজের সঙ্গে যুক্ত করাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হিসেবে বর্ণনা করা হয়।
শিরোনাম
- অজিত দোভালকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালেন খলিলুর রহমান
- শেখ হাসিনাকে বন্দী বিনিময় চুক্তির মাধ্যমে ফিরিয়ে রায় কার্যকর করতে হবে : দুলু
- সাইফের স্ট্যালিয়ন্সকে হারাল তাসকিনের নর্দান ওয়ারিয়র্স
- তা’মীরুল মিল্লাত মাদরাসার টঙ্গী শাখা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা
- ৪২ বছর বয়সে বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পেলেন স্কটিশ গোলরক্ষক গর্ডন
- দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে
- জিয়া পরিবার ফোবিয়ায় যারা ভোগেন, তাদের জনভিত্তি নেই : প্রিন্স
- বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করলো ডেনমার্ক
- গণভোট নিয়ে অধ্যাদেশ জারির পর করণীয় বিষয়ে পদক্ষেপ : সিইসি
- শান্তি প্রচেষ্টা জোরদারে আলোচনার জন্য তুরস্কে জেলেনস্কি
- সাংবাদিক খাসোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে সৌদি যুবরাজের পক্ষ নিলেন ট্রাম্প
- কিবরিয়া হত্যায় ৩০ হাজার টাকার চুক্তি হয় : র্যাব
- লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল
- শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে সামরিক বাহিনীর সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করলো বসুন্ধরা নিবাসী চবিয়ানরা
- ইউক্রেনে রাতভর ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা রাশিয়ার, নিহত ৯
- জকসু নির্বাচন উপলক্ষে ৯ ডিসেম্বর থেকে বন্ধ থাকবে উন্মুক্ত লাইব্রেরি
- লক্ষ্মীপুরে নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়
- হত্যাচেষ্টা মামলায় তাপস-কামরুলসহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
- নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারে হবিগঞ্জে নৌ র্যালি
উইঘুর মুসলিমদের বিচ্ছিন্ন করতে চীনের নতুন কৌশল!
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর