সোমবার, ৫ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

উইঘুর নিপীড়নকে ‘গণহত্যা’বললেন বাইডেন

জিনজিয়াংয়ে উইঘুর মুসলমানের বিরুদ্ধে চীনা সরকারের নির্যাতন ও নিপীড়নমূলক কর্মকান্ডকে ‘গণহত্যা’ বলে ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন। ঘোষণায় মুসলমান ছাড়াও অন্যান্য নৃতাত্ত্বিক ও ধর্মীয় সংখ্যাগুলো গোষ্ঠীর ওপর নির্যাতনকে ‘গণহত্যা’ বলেছেন বাইডেন। সম্প্রতি প্রকাশিত মানবাধিকার চর্চা বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ২০২০ সালের প্রতিবেদনে ‘গণহত্যা’ শব্দটি উল্লেখ করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের শেষ দিকে তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে জিনজিয়াংয়ে চীনা কর্তৃপক্ষ গণহত্যা চালাচ্ছে বলে উল্লেখ করেছিলেন। তবে এবার যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কোনো মানবাধিকার বিষয়ক মূল্যায়ন প্রতিবেদনে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘গণহত্যা’ শব্দটি ব্যবহার করা হলো। ফিন্যান্সিয়াল পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘জিনজিয়াংয়ের উইঘুর মুসলমান এবং অন্যান্য নৃতাত্ত্বিক ও ধর্মীয় সংখ্যাগুলো গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বছরজুড়ে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে।’ চীনা কর্তৃপক্ষ জিনজিয়াংয়ে যেসব অপরাধ করছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে- ১০ লাখেরও বেশি বেসামরিক ব্যক্তিকে নির্বিচারে কারাবন্দী রাখা বা শারীরিক স্বাধীনতা থেকে মারাত্মকভাবে বঞ্চিত করা; জোরপূর্বক বন্ধ্যাকরণ, জোরপূর্বক গর্ভপাত ও চীনের জন্ম নিয়ন্ত্রণ নীতিমালার আরও কঠোরভাবে মানতে বাধ্য করা; ধর্ষণ; নির্বিচারে আটককৃতদের একটি বড় অংশকে নির্যাতন; জোরপূর্বক শ্রমে নিয়োগ এবং ধর্ম বা বিশ্বাস, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও চলাফেরার স্বাধীনতার ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা। প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, চীনা সরকার জিনজিয়াংয়ে উইঘুরদের পাশাপাশি কাজাখ ও কিরজিগ তৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর লোকজন এবং অন্যান্য মুসলমান ও নৃতাত্ত্বিক সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর লোকজনকে নির্বিচারে আটক করে রাখছে।

মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের চীন বিষয়ক বিশেষজ্ঞ সোফি রিচার্ডসন বলেন, ‘প্রতিবেদনে গণহত্যা শব্দটির ব্যবহার উইঘুর, কাজাখ, কিরগিজ ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে চীনা সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে প্রশাসনের গভীর উদ্বেগের ইঙ্গিত বহন করে।’

সর্বশেষ খবর