সোমবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা
মিয়ানমার পরিস্থিতি

গুলতিই বিক্ষোভকারীদের হাতিয়ার

গুলতিই বিক্ষোভকারীদের হাতিয়ার

মিয়ানমারে সামরিক জান্তাবিরোধী বিক্ষোভ দিন দিন শক্তিশালী হয়ে উঠছে। ক্ষমতা দখলকারী সামরিক বাহিনী গণতন্ত্র পুনর্বহালের দাবিতে চলমান আন্দোলনকে কঠোর হাতে দমনের পদক্ষেপ নিলেও বিক্ষোভকারীরা রাজপথ ছাড়ছেন না। বরং শান্তিপূর্ণভাবে শুরু হওয়া বিক্ষোভ ধীরে ধীরে আত্মরক্ষা ও পাল্টা জবাব দেওয়ার পথে এগোচ্ছে। আর এক্ষেত্রে তাদের হাতিয়ার ঘরে বানানো অস্ত্র, গুলতি আর পাথর। শনিবার প্রকাশিত নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে। গত সপ্তাহে এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার মিশেল ব্যাশেলে বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে সামরিক বাহিনীর নিষ্ঠুরভাবে বিক্ষোভ দমনের কারণে ‘অনেকেই অস্ত্র হাতে তুলে নিচ্ছেন’। এই পরিস্থিতির প্রতি সতর্কতা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘২০১১ সালে সিরিয়ার মতোই এক অবস্থার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে এবং একটি পুরোপুরি সংঘাতময় পরিস্থিতির দিকে এগোচ্ছে।’ মিয়ানমারের অনেক নাগরিকের জন্যই ২৭ মার্চ একটি সন্ধিক্ষণ; সেদিন নিরাপত্তা বাহিনী বিক্ষোভ দমনে কমপক্ষে ১৫০ জনকে হত্যা করে। মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা গোষ্ঠীগুলোর হিসাবে, ১ ফেব্রুয়ারির সামরিক অভ্যুত্থানের পর সেটাই ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ দমনাভিযান।

 তাদের দাবি, এ পর্যন্ত বিক্ষোভ দমনে ৭২৮ জনকে হত্যা এবং কমপক্ষে ৩ হাজার জনকে আটক করা হয়েছে। এসব উদ্ভাবনী অস্ত্রশস্ত্র ছাড়াও আন্দোলনকারীরা নিজেদের মধ্যে সাংকেতিক শব্দ চালাচালি করছে। যেমন ‘বিরিয়ানি রান্না হচ্ছে’ মানে অস্ত্র তৈরি করা হচ্ছে, ‘অতিথিদের বিরিয়ানি দেওয়া হচ্ছে’ মানে সেনাদের লক্ষ্য করে বন্দুক ছোড়া হচ্ছে। ‘বিগ বিরিয়ানি’ অর্থ হলো পাল্টা হামলা হিসেবে একটি আগুন দেওয়ার ঘটনা। এ মাসেই কালেই শহরে বিক্ষোভকারীদের একটি দল তাদের এয়ারগান ও শিকারের রাইফেল নিয়ে সামরিক বাহিনীর হামলার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। নিজেদের তারা ‘কালেই সিভিল আর্মি’ হিসেবে ঘোষণা করে। তারা শহরের প্রান্তে বালুর বস্তা দিয়ে ব্যারিকেড তৈরি করে নিজেদের এসব হালকা অস্ত্র নিয়ে সেনাদের মোকাবিলা করার প্রস্তুতি নেয়।

সর্বশেষ খবর