বুধবার, ২১ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

ক্যাস্ত্রো পরিবারের বাইরে নতুন নেতা পেল কিউবা

ক্যাস্ত্রো পরিবারের বাইরে নতুন নেতা পেল কিউবা

দিয়াজ ক্যানেল, রাউল ক্যাস্ত্রো

মিগুয়েল দিয়াজ ক্যানেল কিউবার সর্বক্ষমতাসম্পন্ন কমিউনিস্ট পার্টির নেতা নির্বাচিত হয়েছেন। পার্টির ঘোষণায় এ কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যদিয়ে দেশটিতে ছয় দশকের ক্যাস্ত্রো শাসনের অবসান ঘটল। কারণ রাউল ক্যাস্ত্রো (৮৯) অবসরে গেছেন। দিয়াজ ক্যানেল (৬০) ২০১৮ সাল থেকে কিউবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কমিউনিস্ট পার্টি অব কিউবার (পিসিসি) এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মিগুয়েল দিয়াজ ক্যানেল কমিউনিস্ট পার্টি অব কিউবার সেন্ট্রাল কমিটির ফার্স্ট সেক্রেটারি নির্বাচিত হয়েছেন। এদিকে গত শুক্রবার দলের উদ্দেশে দেওয়া চূড়ান্ত ভাষণে ক্যাস্ত্রো যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শ্রদ্ধাপূর্ণ আলোচনা ও নতুন ধরনের সম্পর্ক গড়ার আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র ১৯৬২ সাল থেকে কিউবার ওপর অবরোধ আরোপ করে রেখেছে। তবে তিনি দেশটির বিপ্লব ও সমাজতন্ত্রের নীতি ত্যাগ না করার ওপর জোর দেন। ফিদেল ক্যাস্ত্রো ১৯৫৯ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত কিউবার নেতৃত্ব দেন। তার অসুস্থতার পর ভাই রাউল ক্যাস্ত্রো দায়িত্ব নেন। পার্টির নেতৃত্বে এই প্রথম একজন বেসামরিক নেতা এলেন।

১৯৫৯ সালে সালের পর থেকে এই প্রথম ফিদেল ক্যাস্ত্রো ও রাউল ক্যাস্ত্রোর বাইরে অন্য কেউ কিউবায় ক্ষমতাসীন হলেন। মিগুয়েল দিয়াজ ক্যানেল ক্যাস্ত্রোদের অনুগত। তাঁদের অর্থনৈতিক মতাদর্শের অনুসারী তিনি। ৬০ বছর বয়সী মিগুয়েল দিয়াজ ক্যানেলের কাছে ২০১৮ সালে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিলেন রাউল। জাতীয় সরকারের নেতৃত্বে আসার আগে মিগুয়েল দুটি প্রদেশে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

দিয়াজ ক্যানেল রাউল ক্যাস্ত্রোর চেয়ে প্রায় ৩০ বছরের ছোট। ফিদেল ক্যাস্ত্রোর পর ২০১১ সাল থেকে কিউবার শাসনক্ষমতায় রয়েছেন রাউল ক্যাস্ত্রো। ১৯৫৯ সাল থেকে কিউবায় নেতৃত্ব দেন ফিদেল ক্যাস্ত্রো। ২০০৬ সালে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এর দুই বছর পর তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর ভাইয়ের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। ২০১৬ সালে ফিদেল ক্যাস্ত্রো মারা যান।

মিগুয়েল দিয়াজ ক্যানেলের জন্ম কিউবা বিপ্লবের পর। তিনি ক্যাস্ত্রোদের একনিষ্ঠ সমর্থক। বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন দিয়াজ ক্যানেল। তিনি সান্তা ক্লারায় ইয়ং কমিউনিস্ট লিগের সদস্য ছিলেন। ২০০৯ সালে দিয়াজ ক্যানেল শিক্ষামন্ত্রী হন। ২০১৩ সালে তিনি ভাইস প্রেসিডেন্ট হন। পাঁচ বছর পর ২০১৮ সালে কিউবার ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে ৯৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ ভোটে তিনি কিউবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। দিয়াজ ক্যানেলের নেতৃত্বে কিউবা উত্তর কোরিয়া, চীন, রাশিয়া, বলিভিয়া ও ভেনেজুয়েলার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছে। ক্যাস্ত্রোদের মতাদর্শ বজায় রেখে কিউবায় শাসনব্যবস্থা পরিচালনা করেছেন দিয়াজ ক্যানেল। এর মধ্যে দেশটি বড় ধরনের অর্থনৈতিক সংকটেরও সম্মুখীন হয়েছে।

সর্বশেষ খবর