বৃহস্পতিবার, ৬ মে, ২০২১ ০০:০০ টা
পঞ্চায়েত নির্বাচন

বারাণসী, অযোধ্যা, মথুরায় ধরাশায়ী বিজেপি

পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে মমতা ব্যানার্জি জিতেছেন। কিন্তু তার এই জয়ে মাথা নুয়ে পড়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও ক্ষমতাসীন দল বিজেপির। আর এই জয়-পরাজয়ের উত্তাপ না কমতেই ফের তোপের মুখে পড়েছে বিজেপি ও নরেন্দ্র মোদি। পঞ্চায়েত নির্বাচনে মোদির বারাণসী, যোগীর রাজ্য ও অযোধ্যায় শোচনীয় পরাজয় ঘটেছে বিজেপির।

বারাণসী, অযোধ্যা ও মথুরা হলো উত্তরপ্রদেশে বিজেপির শক্ত ঘাঁটি। তিনটি জায়গায়ই পঞ্চায়েত ভোটে খুবই কম আসন পেয়েছে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্বাচন কেন্দ্র বারাণসীতে ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। পাশাপাশি, ‘রাম জন্মভূমি’ অযোধ্যা এবং ‘কৃষ্ণের এলাকা’ মথুরায়ও পরাজিত পদ্ম শিবির। সামগ্রিকভাবেও যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে বিরোধীরা বিজেপির তুলনায় অনেক বেশি আসনে জিতেছে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিজের কেন্দ্র বারাণসীতে বিজেপি পেয়েছে আটটি। সমাজবাদী পার্টি পেয়েছে ১৫টি। বিএসপি পাঁচটি এবং আম আদমি পার্টি এবং সুহেলদেব ভারতীয় জনতা পার্টি একটি করে আসন। অযোধ্যায় বিজেপি পেয়েছে মাত্র ছয়টি আসন, সমাজবাদী ২২টি, বিএসপি চারটি আসন। যেখানে রামমন্দির হচ্ছে, যোগী আদিত্যনাথ যে জায়গাকে সব চেয়ে গুরুত্ব দেন, সেখানেও বিজেপির এই পরাজয় সবাইকে অবাক করেছে।

মথুরায় বিএসপি ১২, অজিত সিংয়ের লোকদল নয়টি এবং বিজেপি তিনটি আসনে জিতেছে। অর্থাৎ উত্তরপ্রদেশের প্রধান তিনটি ধর্মীয় শহরে বিজেপির শোচনীয় হার হয়েছে। তবে শুধু এখানেই নয়, উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জায়গায় ছবিটা কমবেশি একই।

মিরাটে বিজেপি পেয়েছে মাত্র ছয়টি আসন। সমাজবাদী পার্টি নয় ও বিএসপি ১২টি আসনে জিতেছে। পশ্চিম উত্তরপ্রদেশ যেখানে কৃষকদের আন্দোলন জোরদার ছিল, সেখানে বিজেপি অধিকাংশ আসনে হেরেছে। এবার অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আপ উত্তর প্রদেশে বেশ কিছু আসনে জিতেছে।

অমর উজালার রাজনৈতিক সম্পাদক শরদ গুপ্তা ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘এই ভোটে সব চেয়ে বড় প্রভাব পড়েছে করোনা ও কৃষক আন্দোলনের। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসার পর সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ প্রবল হয়েছে। লোকের মনে হয়েছে, সরকার কিছুই করেনি। সেই সঙ্গে কৃষকদের আন্দোলনের বিপুল প্রভাব পড়েছে। তারই যোগফলে বিজেপি খারাপ ফল করেছে। এক বছরের মধ্যেই উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এই হার যোগীর পক্ষে কতটা বিপদসংকেত? যোগীর নেতৃত্বের বিরুদ্ধে কি মানুষ ক্ষুব্ধ?

উত্তরপ্রদেশের প্রবীণ সাংবাদিক সতীশ কে সিং মনে করেন, এই নির্বাচন ছিল সেমিফাইনাল। যোগীর মধ্যে স্বৈরাচারী ও পুলিশি ব্যবস্থা চালু করার প্রবণতা স্পষ্ট। তার মতে, সরকার জোর করে সব কাজ করতে চাইছে। তার প্রভাব ভবিষ্যতেও পড়তে পারে।

সর্বশেষ খবর