শনিবার, ২৯ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

গাজায় ইসরায়েলের অপরাধ তদন্ত করবে জাতিসংঘ

গাজার ইসরায়েলের আইন বহির্ভূত হামলা, সহিংসতা ও হত্যার আন্তর্জাতিক তদন্ত শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ। ইসরায়েল-হামাস সংঘাত তদন্তের জন্য ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা বা ওআইসি এবং জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি প্রতিনিধির আনা একটি প্রস্তাব নিয়ে বৃহস্পতিবার ভোটাভুটি হয়। এতেই তদন্তের পক্ষ সমর্থন করে বেশির ভাগ সদস্য। ৪৭ সদস্যের মানবাধিকার পরিষদের ২৪টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে এবং নয়টি দেশ বিপক্ষে ভোট দেয়। আর ১৪টি দেশ ভোটদানে বিরত থাকে। প্রস্তাবে ইসরায়েল-হামাস সংঘাত তদন্তে একটি স্থায়ী তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি জানানো হয়েছে। যার কাজ হবে লড়াই চলার ওই সময়ে ইসরায়েল, গাজা, অধিকৃত পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমেও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা খতিয়ে দেখে প্রতিবেদন দেওয়া। ইসরায়ের ও হামাসের মধ্যে সংঘাত গত ২১ মে-তে যুদ্ধবিরতির মধ্য দিয়ে অবসান হয়েছে। জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের প্রধান মিশেল ব্যাচেলে এর আগে গাজায় চালানো ইসরায়েলের হামলা যুদ্ধাপরাধেরর পর্যায়ে পড়তে পারে বলে জানিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের বিশেষ এক অধিবেশনে ভাষণদানকালে ব্যাচেলে বলেছিলেন, ‘গাজায় ক্ষেপণাস্ত্র, গোলা ছুড়ে ইসরায়েলের হামলায় বেসামরিক নাগরিকরা হতাহত হয়েছেন এবং অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’ ‘যদিও ইসরায়েলের দাবি, তাদের হামলায় ধ্বংস হওয়া বেশির ভাগ ভবনেই সশস্ত্র ফিলিস্তিনি দল আশ্রয় নিয়েছিল এবং সামরিক তৎপরতা চালিয়ে আসছিল, কিন্তু এর কোনো প্রমাণ আমাদের চোখে পড়েনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘তাই ইসরায়েল যেনতেনভাবে অসম শক্তি ব্যবহার করে হামলা চালিয়ে থাকলে এ ধরনের হামলা যুদ্ধাপরাধের পর্যায়ে পড়তে পারে।’ ব্যাচেলের এমন বক্তব্যের পর জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের ফোরামে ঘটনার তদন্ত প্রস্তাব গৃহীত হলেও ইসরায়েল তা প্রত্যাখ্যান করেছে এবং তদন্তে সহযোগিতা করবে না বলে জানিয়েছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আজকের লজ্জাজনক সিদ্ধান্ত জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের ইসরায়েল-বিরোধী মনোভাবের আরেকটি দৃষ্টান্ত।’ তবে হামাসের পক্ষ থেকে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দলটির কর্মকান্ড ‘বৈধ প্রতিরোধ’। ইসরায়েলকে যত দ্রুত সম্ভব শাস্তি দেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছে হামাস।

সর্বশেষ খবর