সবাই সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা-সদস্য। সবে সেনা কলেজ থেকে প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছিল। সন্ত্রাস দমনে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে জোলো দ্বীপের সুলু প্রদেশে মোতায়েনের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল সবাইকে। ফিলিপাইনের সেই সেনাবিমানটি দুর্ঘটনায় পড়ে অন্তত ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিমানটিতে ৯৬ জন যাত্রী ছিল।
বাকিদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সারা দিন ধরে উদ্ধারকার্য চলেছে। ফিলিপাইনের সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, সেনার সি-১৩০ বিমানটিতে মোট ৯৬ জন যাত্রী ছিল। তাঁদের ফিলিপাইনের দক্ষিণ প্রান্ত সন্ত্রাসের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। ‘আবু সায়াফ’-এর মতো সেখান থেকে যাবতীয় কাজকর্ম নিয়ন্ত্রণ করে। তাদের মোকাবিলা করতেই সেনা বাড়ানো হচ্ছিল সেখানে। তার মধ্যেই এই দুর্ঘটনা। এই দুর্ঘটনার সঙ্গে নাশকতার কোনো সংযোগ রয়েছে কি না, তা এখনো পর্যন্ত জানা যায়নি।
এক বিজ্ঞপ্তিতে দেশটির বিমান বাহিনী জানিয়েছে, ‘জোলো দ্বীপে অবতরণ করার সময় সংঘর্ষে ভেঙে পড়ে বিমান বাহিনীর সি-১৩০ বিমান।
বর্তমানে উদ্ধারকার্য চলছে।’ ছবিতে দেখা যাচ্ছে, কোনো বনাঞ্চলে বিমানটি ভেঙে পড়েছে। যার জেরে দ্রুত ছড়িয়েছে আগুন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী ডেলফিন লরেনজানা জানিয়েছেন, বিমানটিতে তিনজন পাইলট, পাঁচজন ক্রু মেম্বারসহ মোট ৯৬ জন যাত্রী ছিল। ফিলিপাইন সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, যাত্রীদের অধিকাংশই সেনাবাহিনীর কর্মী। প্রশিক্ষণ সবেমাত্র শেষ করেছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিধ্বস্ত হওয়া সি-১৩০ হারকিউলিস মডেলের পরিবহন উড়ো জাহাজটির আরোহীদের বেশির ভাগই সেনাসদস্য। গত ৩০ বছরের মধ্যে ফিলিপাইনের ইতিহাসে এটি সবচেয়ে ভয়াবহ সামরিক উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনা। ফিলিপাইনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমে দুর্ঘটনার স্থানের কয়েকটি ছবি প্রকাশ করা হয়, যেখানে কয়েকটি ভবনের পাশে থাকা বিমানের ধ্বংসস্তূপে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। গতকাল স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টায় ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলের দ্বীপ মিন্দানাওয়ের কাগায়ান ডে ওরো থেকে জোলো শহরে সেনা সদস্যদের বহন করে নিয়ে আসছিল বিমানটি।