আফগানিস্তান ইস্যুতে আলোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীনের শীর্ষ কূটনীতিকরা পাকিস্তানে বৈঠকে বসেছেন। আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি
নিয়ে তাঁরা আলোচনা করবেন। দেশটিতে তালেবান ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকেই মানবিক পরিস্থিতির চরম অবনতি চলছে। এ ছাড়া হাজার হাজার আফগান প্রতিবেশী দেশগুলোয় আশ্রয় নিয়েছেন। গতকাল কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
আফগানিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকিও ইসলামাবাদে উপস্থিত ছিলেন কিন্তু তিনি গতকালের বৈঠকে যোগ দেননি। তবে পরে তিনি পাকিস্তানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানা গেছে।পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশি বৈঠকের শুরুতে সতর্ক করে বলেন, আফগানিস্তান অর্থনৈতিক পতনের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। তাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই পশ্চিমা দাতাদের দ্বারা বন্ধ করে দেওয়া অর্থায়ন পুনরায় চালু হবে ও মানবিক সহায়তা প্রদান করতে হবে।
আফগানিস্তানের আরও অর্থনৈতিক অবনতি নতুন তালেবান সরকারকে দেশ পরিচালনার ক্ষমতাকে সীমিত করবে। আফগানিস্তানের জন্য আন্তর্জাতিক তহবিল পুনরায় শুরু হলে দেশটির অর্থনীতি পুনরুজ্জীবিত ও স্থিতিশীল হবে বলেও জানান তিনি।
টানা ২০ বছর ধরে যুদ্ধ চলে তালেবান এবং যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্রদের মধ্যে। অবশেষে ৩১ আগস্ট কাবুল ত্যাগ করে যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্র দেশগুলোর সেনারা। এরপর নতুন সরকার ঘোষণা করে তালেবান। ক্ষমতা নেওয়ার কয়েক মাস পার হলেও এখনো অস্থিরতা বিরাজ করছে দেশটিতে। মুখ থুবড়ে পড়েছে দেশটির অর্থনীতি। তবে আফগানরা কবে স্বাভাবিক জীবনযাপনে ফিরতে পারবে তা এখনো অনিশ্চিত।
