শনিবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

১৯০তম জন্মদিন পালন জোনাথনের

১৯০তম জন্মদিন পালন জোনাথনের

ব্রিটিশ দ্বীপ সেন্ট হেলেনা। সেই দ্বীপেই রয়েছে স্থলে বসবাসকারী সবচেয়ে প্রাচীন প্রাণী। জোনাথন। এক দৈত্যাকার কচ্ছপ। ২০২২-এ ১৯০তম জন্মদিবস পালন করল সে। নাম উঠল গিনেস বুক অব রেকর্ডসেও। জোনাথনের বয়স নিয়ে অবশ্য গিনেস কর্তৃপক্ষ পুরোপুরি নিশ্চিত নয়। কারণ ১৮৮২ সালে তাকে যখন প্রথম সেন্ট হেলেনায় নিয়ে আসা হয়েছিল, তখন বয়স ছিল ৫০ বছরের বেশি। সেই হিসাবে ২০২২ সালে জোনাথনই সবচেয়ে বেশি বয়সের স্থলজীবী প্রাণী।

জোনাথনকে সিসিলি থেকে সেন্ট হেলেনা দ্বীপে নিয়ে আসা হয়। সেই থেকে ডেভিড এমা এবং ফ্রেডের সঙ্গে গভর্নর বাসভবনই জোনাথনের স্থায়ী ঠিকানা। তিন সঙ্গী কচ্ছপই তার থেকে বয়সে ছোট। সেন্ট হেলেনায় জীবনের ১৪০টা বছর কাটিয়ে দিয়েছে জোনাথন। ১৯০ বছরে গোটা বিশ্ব প্রায় আমূল বদলে গেছে। কিন্তু জোনাথন রয়ে গেছে একই রকম। খাওয়া আর ঘুম। মাঝে মধ্যে দুই স্ত্রী এমা আর ফ্রেডের সঙ্গে খুনসুটি।

গিনেস বুক অনুযায়ী, দৈত্যাকার কচ্ছপের তালিকায় তু’ই মালিলার রেকর্ড ভেঙেছে জোনাথন। ১৭৭৭ সালে টোঙ্গার রাজপরিবারকে উপহার হিসেবে তু’ই মালিলাকে দিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন কুক। ১৯৬৫ সালে মারা যায় সেই কচ্ছপ। বয়স ছিল ১৮৮ বছর। জোনাথন সেই রেকর্ড ভেঙে পৃথিবীতে ১৯০ বছর কাটিয়ে দিয়েছে।

সেন্ট হেলেনা সরকার বলছে, জোনাথন শীতের মৌসুমকে বেশ উপভোগ করছে। এখন সে সপ্তাহে মাত্র এক দিনই খাওয়া-দাওয়া করে। তাও যদি খাইয়ে দেওয়া হয় তবেই। কারণ বয়সের ভারে জোনাথন আর চোখে দেখতে পায় না। ঘ্রাণশক্তিও প্রায় সম্পূর্ণ চলে  গেছে বলা যায়। তাই মাঠে খাবার ফেলে রাখলে জোনাথন তা খেতে পারে না। তার পরিচর্চায় নিয়োজিত জো হলিনসই খাইয়ে দেন তাকে। তবে এখনো মানুষের কোলাহল পছন্দ করে জোনাথন। হলিনসের কণ্ঠস্বর শুনে চনমনে হয়ে ওঠে।

সেন্ট হেলেনার গভর্নর হাউসে গেলেই দেখা মেলে বৃদ্ধ জোনাথনের। বাঁধাকপি, শসা, গাজর, আপেল, কলা আর লেটুস শাক তার পছন্দের খাবার। চোখে দেখতে না পেলেও শুধু শ্রবণশক্তির জোরেই গভর্নর হাউসের সবুজ ঘাসে ঘেরা বিশাল চত্বরে দিনভর চলাফেরা করে জোনাথন। ১৯০ বছরের এই বিস্ময়কে ইতোমধ্যেই নেটিজেনরা শুভেচ্ছা জানাতে শুরু করেছেন। সবাই বলছেন, আরও দীর্ঘজীবী হও জোনাথন, দ্য বার্থডে বয়।  

 

সর্বশেষ খবর