বৃহস্পতিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা
ব্রাজিলে নির্বাচন

জরিপে এগিয়ে কারাভোগী সাবেক প্রেসিডেন্ট লুলা

জরিপে এগিয়ে কারাভোগী সাবেক প্রেসিডেন্ট লুলা

ফুটবলের দেশ ব্রাজিলে আগামী রবিবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। নির্বাচনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো ও সাবেক প্রেসিডেন্ট লুলা ডি সিলভার মধ্যে প্রতিযোগিতা হবে বলে ধারণা করা হয়েছিল। তবে সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে বলসোনারোর চেয়ে বেশ এগিয়ে লুলা। জরিপে আগামী ২ অক্টোবর নির্বাচনের প্রথম রাউন্ডের ভোটে লুলা ডি সিলভার পক্ষে রয়েছে ৪৬ শতাংশ সমর্থন; যেখানে বলসোনারোর পক্ষে রয়েছে ৩৩ শতাংশ। বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে বলসোনারোর বিপরীতে লুলার জনসমর্থন বেড়েই চলেছে। তবে লুলা যে জনপ্রিয় হচ্ছেন বছর কয়েক আগে তার অবস্থা এমন ছিল না।  শ্রমিক নেতা থেকে ২০০৩ সালে তিনি প্রেসিডেন্ট হন ব্রাজিলের। ২০১০ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্রাজিলের ৩৫তম রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার শাসনামলে রাতারাতি বদলে গিয়েছিল ব্রাজিলের দরিদ্রদের ভাগ্য। ব্যাপক উন্নতি হয়েছিল শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ খাতে। ক্ষমতা ছাড়েন ৯০ শতাংশ জনসমর্থন নিয়ে। কিন্তু ক্ষমতা ছাড়ার পরই ‘দুর্নীতি’র দায়ে ২৫ বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয় তাকে। সবাই ভেবেছিল, তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ। কিন্তু সেই লুলাই এখন আরও একবার ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে। তিন বছর জেল খেটে বের হয়েছেন তিনি। কিন্তু সম্প্রতি এক সন্ধ্যায় রিও ডি জেনিরোতে শ্রমজীবী শ্রেণির এক সমাবেশে সেই লুলা ডি সিলভার নাম নিয়েই স্লোগান তোলে হাজার হাজার মানুষ। লুলা ডি সিলভার জন্ম উত্তরপূর্ব ব্রাজিলের এক দরিদ্র পরিবারে। ১২ বছর বয়সে তাকে স্কুল ছাড়তে হয় ভাইবোন ও মাকে সাহায্য করার জন্য। কাজ নেন একটি অটো যন্ত্রাংশের কারখানায়। কয়েক বছর পর কারখানায় এক দুর্ঘটনায় তিনি আঙুল হারান। তরুণ বয়সেই লুলা জড়ান রাজনীতিতে। তার নেতৃত্বে ইস্পাত শ্রমিকরা অনেকগুলো ধর্মঘট করেন। ওসব আন্দোলনের ফলে ১৯৮৫ সালে ব্রাজিলে স্বৈরতন্ত্রের পতন হয়। এরপর লুলা পর পর তিনবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়েন ১৯৮৯, ১৯৯৪ ও ১৯৯৮ সালে। তিনবারই পরাজিত হন। অবশেষে ২০০২ সালের নির্বাচনে জয়ের দেখা পান লুলা। তারপর জেল। সেখান থেকে আবার প্রেসিডেন্টের দৌড়ে এগিয়ে।

সর্বশেষ খবর