শনিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

বন্ধুত্বের মাত্রা দেখাতে মস্কো জিন পিংকে আমন্ত্রণ পুতিনের

বন্ধুত্বের মাত্রা দেখাতে মস্কো জিন পিংকে আমন্ত্রণ পুতিনের

১০ মাস ধরে ইউক্রেনে লাগাতার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। এ সময়ে ইউক্রেন শুধু প্রতিরক্ষাই করে যাচ্ছে। আর এই প্রতিরক্ষা কাজে ইউক্রেনকে সহায়তা করে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ। ফলশ্রুতিকে রাশিয়াকে মূলত লড়তে হচ্ছে গোটা পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, রাশিয়ার এই যুদ্ধাংদেহী আচরণে পরোক্ষ সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে এশিয়ার প্রভাবশালী দেশ চীন। এর মধ্যে গতকাল ভার্চুয়াল বৈঠকে মিলিত হলেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। এ সময় শি জিন পিংয়ের উদ্দেশে পুতিন বলেন, প্রিয় বন্ধু এবং চেয়ারম্যান, ২০২৩ সালের বসন্তে মস্কোতে রাষ্ট্রীয় সফরে আপনার প্রত্যাশা করছি আমরা। আপনার এই সফর বিশ্বকে দেখিয়ে দেবে রাশিয়া ও চীনের সম্পর্ক কতখানি ঘনিষ্ঠ।

আল জাজিরার খবরে বলা হয়, শি জিন পিংয়ের এই সফর হতে যাচ্ছে মূলত রাশিয়ার প্রতি চীনের সমর্থন প্রদর্শনের একটি প্রকাশ্য আয়োজন।

পুতিন জানিয়েছেন, তিনি চীনের সঙ্গে সামরিক সহায়তা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছেন। জবাবে শি জিন পিংও বলেন, চীন এখন রাশিয়ার সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক বৃদ্ধিতে প্রস্তুত। এ সময় বিশ্বের বর্তমান অবস্থাকে কঠিন বলে আখ্যায়িত করেন।

আলোচনায় পুতিন জানান, চীন ও রাশিয়ার মধ্যকার বাণিজ্য এ বছর ২০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। এ বছর চীনের সবচেয়ে বড় তেল আমদানিকারক দেশে পরিণত হয়েছে রাশিয়া।

পাইপলাইন গ্যাস রপ্তানিতেও রাশিয়া দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে এবং এলএনজি রপ্তানিতে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। ইতিহাসের যে কোনো সময়ের তুলনায় রাশিয়া-চীন সম্পর্ক সেরা সময় পার করছে। রাশিয়া ও চীনের মধ্যকার সহযোগিতামূলক সম্পর্ক নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা গড়ে তুলছে।

শি জিন পিং জানিয়েছেন, চীন রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক শক্তিশালী করতে প্রস্তুত। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যখন কঠিন পরিবেশ বিরাজ করছে তখন চীন ও রাশিয়া একে অপরের উন্নয়নের সঙ্গী হওয়ার জন্য প্রস্তুত বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এদিকে পুতিন আসছে বছরে বিভিন্ন বিদেশি সরকারকে শুভেচ্ছা পাঠিয়েছেন। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁকে শুভেচ্ছা জানাননি।

এদিকে বড়দিনের পর থেকে ইউক্রেনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে রাশিয়া। গত দুই দিনে শত শত ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলোনস্কি বলেছেন, এই হামলায় তার দেশের ৯০ শতাংশ বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেছে। ফলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় মানুষ মারা না গেলেও বিদ্যুৎ সমস্যায় কোটি কোটি মানুষ বিপাকে পড়েছে।

সর্বশেষ খবর