যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার নির্বাচনের ভোটে টানা ১৪ বার ব্যর্থ হওয়ার পর ১৫ বারে সফল হলেন রিপাবলিকান কেভিন ম্যাককার্থি। তিনি পরিষদের নতুন স্পিকার নির্বাচিত হয়েছেন। গতকাল প্রথম কয়েক ঘণ্টায় হওয়া নির্বাচনে ২১৬ ভোট পেয়ে জয়ী হন ক্যালিফোর্নিয়ার এ প্রতিনিধি। তার ডেমোক্র্যাট প্রতিদ্বন্দ্বী হাকিম জেফরিস পেয়েছেন ২১২ ভোট। তবে নিজ দলের কট্টরপন্থিদের বাধা এড়াতে ম্যাককার্থিকে (৫৭) ব্যাপক ছাড় দিতে হয়েছে। আর তাতে দলটির শাসন করার ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।ম্যাককার্থির জয়ে মার্কিন কংগ্রেসে কয়েকদিন ধরে চলা অচলাবস্থার অবসান ঘটল। গত ১৬০ বছরের বেশি সময় ধরে মার্কিন কংগ্রেসকে এ ধরনের পরিস্থিতিতে পড়তে হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের গৃহযুদ্ধের পর্বের পর স্পিকার নির্বাচনে এমন অচলাবস্থা আর দেখা যায়নি। ওই সময় ১৮৬০ সালে প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার নির্বাচনে মোট ৪৪ দফা ভোট হয়েছিল। গত বছর নভেম্বরের মধ্যবর্তী নির্বাচনে রিপাবলিকানরা প্রতিনিধি পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। কিন্তু দলটির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে স্পিকার নির্বাচনে অচলাবস্থা দেখা দেয়। স্পিকার নির্বাচন করতে ব্যর্থতার কারণে প্রতিনিধি পরিষদের সদস্যরা শপথ নিতে পারছিলেন না এবং কোনো বিলও পাস করা যাচ্ছিল না। ম্যাককার্থির স্পিকার নির্বাচিত হতে না পারার মূলে ছিল তার দলেরই কট্টরপন্থি ২০ আইনপ্রণেতা। তারা ম্যাককার্থিকে সমর্থন দিচ্ছিলেন না। বিদ্রোহী এ রিপাবলিকানরা ম্যাককার্থির রক্ষণশীলতা নিয়ে সন্দিহান ছিলেন। আগের ১৪ বারের ভোটে তারা বিরোধিতা অব্যাহত রাখলেও ১৫ দফা ভোটের আগে তাদের সঙ্গে আলোচনায় ব্যাপক ছাড় দিতে রাজি হন ম্যাককার্থি। এরপর তাদের মধ্যে ১৬ জন ম্যাককার্থির প্রতি সমর্থন জানালেও ছয়জন ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকেন। মোট ৪২৮ ভোট পড়ে, যার মধ্যে ম্যাককার্থি পান ২১৬ ও জেফরিস পান ২১২ ভোট। এর আগে বিবিসি জানিয়েছে, ১৯২৩ সালের পর এবারই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদ প্রথম রাউন্ডের ভোটে নেতা ঠিক করতে পারল না। অথচ নভেম্বরের নির্বাচনের মাধ্যমে নিম্নকক্ষের দখল ফিরে পাওয়া রিপাবলিকানদের শুরুটা হওয়ার কথা ছিল বিজয়োল্লাসে। তার বদলে ম্যাককার্থিকে দেখতে হলো দলীয় সহকর্মীদের বিদ্রোহ। আর নিজে এমন রেকর্ডে জড়ালেন যেখানে ভবিষ্যতেও কেউ তার সঙ্গী হতে চাইবে না। নতুন স্পিকার ঠিক না হওয়া পর্যন্ত প্রতিনিধি পরিষদ অন্য কোনো কাজ করতে পারবে না। শেষ পর্যন্ত ম্যাককার্থি জিতলেও পরবর্তী দুই বছর উদার ও ডানপন্থি রিপাবলিকানদের বিরোধ নিয়েই যে প্রতিনিধি পরিষদ টালমাটাল থাকবে, তারই ইঙ্গিত পাওয়া গেল বলে বলছেন বিশ্লেষকরা। নভেম্বরের মধ্যবর্তী নির্বাচন নিম্নকক্ষের দখল এনে দিলেও ৪৩৫টির মধ্যে মাত্র ২২২টি আসন পাওয়া রিপাবলিকানদের সঙ্গে ডেমোক্র্যাটদের ব্যবধান খুবই কম। ‘কেভিন ম্যাককার্থি দীর্ঘদিন ধরে রিপাবলিকান ককাসের সুনির্দিষ্ট অংশের কাউকে বন্ধু বানাতে পারেননি, তিনি অনেক শত্রু বানিয়েছেন। রিপাবলিকানদের মধ্যে অনেকে আছেন, যারা তাকে রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত কারণে পছন্দ করেন না,’ বলেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রিপাবলিকান এক লবিস্ট। কট্টর রিপাবলিকানরা ম্যাককার্থিকে অনেক বেশি মূলধারার লোক ও ক্ষমতাপ্রিয় হিসেবে দেখে আসছে। ক্যালিফোর্নিয়ার এ সাংসদ অবশ্য সম্প্রতি দলে তাকে অপছন্দ করা অংশের সঙ্গে মধ্যস্থতারও চেষ্টা করেছিলেন। এক পর্যায়ে তিনি প্রতিনিধি পরিষদে স্পিকারকে গদিচ্যুত করার নিয়ম সহজ করার ব্যাপারেও রাজি হন, কিন্তু তাও কট্টর রক্ষণশীলদের মন জিততে পারেননি। বিবিসি।
শিরোনাম
- প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের কর্মবিরতি শুরু
- ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে ভারোত্তোলনে ব্রোঞ্জ জয় বাংলাদেশের
- একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৯ নভেম্বর)
- ৩৭ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে সিরিজ হারল দক্ষিণ আফ্রিকা
- তারুণ্যনির্ভর নতুন বাংলাদেশ গড়তে এখনই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার সময় : নবীউল্লাহ নবী
- সমালোচনার মাঝেই শেষ হলো গামিনির বাংলাদেশ অধ্যায়
- অবশেষে মুখ খুললেন রাশমিকা, জানালেন কেন বিয়ে করছেন বিজয়কে
- ত্বকী হত্যায় জড়িত শামীম-অয়ন-আজমেরী-নিজাম: রফিউর রাব্বী
- বগুড়া আরডিএ’র নিয়োগ জালিয়াতি, জড়িতদের তথ্য পেয়েছে পুলিশ
- সংস্কৃতি মানুষকে সভ্য করে : কাদের গনি চৌধুরী
- মোবাইল আসক্তি বদলে দেবে দেহের গঠন
- ‘স্বাধীনতা রক্ষায় বিএনপিকে বিজয়ী করা ছাড়া বিকল্প নেই’
- আমরা অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই : মির্জা ফখরুল
- বিশ্বনাথে ৬ চোরাই সিএনজি উদ্ধার, ১ আটক
- ‘আঙ্গুল বাঁকা করে ঘি খাওয়া’ ’৭১ সালেই প্রত্যক্ষ করেছে জনগণ : প্রিন্স
- দিনাজপুরে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শেষে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ
- সংস্কার ছাড়া জনগণের কাছে আর কোনো নির্বাচন গ্রহণযোগ্য নয় : মামুনুল হক
- ২৩ মাঠ কর্মকর্তাকে বদলি করলো ইসি
- নেত্রকোনায় সীমান্তে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত
- গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসতে হবে : তৃপ্তি