সোমবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

মাটির নিচে তলিয়ে যাবে জোশীমঠ!

মাটির নিচে তলিয়ে যাবে জোশীমঠ!

চলতি বছরের শুরুতেই জোশীমঠের বিভিন্ন স্থাপনা ও সড়কে বড় বড় ফাটল দেখা দেয়। গত সপ্তাহেই এলাকার অন্তত ১ হাজার বাড়িতে বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। চওড়া ফাটল দেখা গেছে শহরটির রাস্তা-মন্দির-জমিতে। মাত্র ১২ দিনের ব্যবধানে তোলা ছবিতে দেখা গেছে, জোশীমঠের মাটি ধসে গেছে ৫.৪ সেন্টিমিটার। এখন আশঙ্কা করা হচ্ছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে জোশীমঠ এলাকা পুরোটাই ধসে যেতে পারে। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরো এ আশঙ্কা করেছে। ইসরোর ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টার-এনআরএসসির মতে, একটি নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে ‘কার্টোস্যাট-২ এস’ উপগ্রহের মাধ্যমে সেন্টিনেল-১ এসএআর ইমেজরি যন্ত্র দিয়ে ডিআইএনএসএআর কৌশল ব্যবহার করে ছবিগুলো তোলা হয়েছিল।

জোশীমঠের কাছেই রয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটা বড় ছাউনি। চীন আর ভারতের মাঝে যে লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল বা এল এ সি আছে, সেখানে নজরদারি চালান এ ছাউনিতে থাকা সেনাসদস্যরাই। সেনা ছাউনির ২৫-২৮টি ভবনেও ফাটল ধরেছে বলে জানিয়েছেন, ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডে। এক সংবাদ সম্মেলনে। তিনি জানিয়েছেন, ছাউনি থেকে সেনা সদস্যদের একটা অংশকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

 কিন্তু বাহিনীর কতজনকে সরানো হয়েছে, তা জানাননি তিনি। সংবাদ সংস্থা এএনআই পান্ডেকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে যে, প্রয়োজন হলে ওই ছাউনি থেকে সব সেনা সদস্যকেই আউলিতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হতে পারে। মেরামতের আর কোনো সুযোগ নেই : এতদিন মনে করা হচ্ছিল যে, ফাটল ধরে যাওয়া বাড়িগুলো ভেঙে ফেললেই বোধহয় সমস্যার সমাধান হবে, কিন্তু ইসরোর সর্বশেষ বিশ্লেষণ দেখে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে যে, আদৌ শহরটিকে রক্ষা করা কি সম্ভব হবে? পরিবেশবিদ বিমলেন্দু ঝা সম্প্রতি একাধিক টুইট বার্তায় সেই আশঙ্কাই প্রকাশ করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘মেরামতের কোনো সুযোগই আর নেই, কোনো রিভার্স গিয়ার দেওয়াও সম্ভব নয়।’

সর্বশেষ খবর