বর্তমান কাঠামো দিয়ে বিশ্বে প্রভাব বিস্তার করা সম্ভব নয়। এ উপলব্ধি থেকে প্রতিরক্ষা বিভাগকে পুরো ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা করছে রুশ প্রশাসন। এ সংস্কারে প্রশাসনের পাশাপাশি নৌ, মহাকাশ ও কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র বাহিনী যুদ্ধ সক্ষমতা আরও জোরদার করা হবে, বলেছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
শুরু হওয়া নতুন বছর থেকে শুরু করে ২০২৬ সালের মধ্যে সশস্ত্র বাহিনীতে এ বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হবে। রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর মূল কাঠামোগত উপাদানগুলোকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে রাষ্ট্রের সামরিক নিরাপত্তা এবং রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো রক্ষা করা সম্ভব।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ইউক্রেনে পশ্চিমারা যে ‘ছায়া যুদ্ধ’ চালাচ্ছে তার জন্যই সশস্ত্র বাহিনীতে এ বড় ধরনের পরিবর্তন দরকার হয়ে পড়েছে। রুশ বাহিনীর অগ্রযাত্রা রুখতে ইউক্রেনকে নিয়মিত অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে যাচ্ছে পশ্চিমারা। সম্প্রতি দেশটিকে অত্যাধুনিক ট্যাংকসহ আরও ভারী অস্ত্র দেওয়া নিয়েও আলোচনা চলছে। এমন সময়ই রাশিয়ার দিক থেকে সশস্ত্র বাহিনীকে ঢেলে সাজানোর এ নতুন ঘোষণা এলো।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সেনা পাঠিয়ে শুরুর দিকে দেশটির বিপুল অংশ কব্জায় নেওয়া রুশ বাহিনী পরে বেশ খানিকটা পিছুও হটে; এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে ডিসেম্বরে ?রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সামরিক বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ধীরে ধীরে ১৫ লাখে উন্নীত করার প্রতিশ্রুতি দেয়। ইউক্রেনে তাদের ভাষায় যে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ চলছে, ১১ মাসে সেই অভিযানেরও নেতৃত্বেও কয়েকদফা রদবদল করেছে তারা।
গত সপ্তাহে শোইগু রুশ সামরিক বাহিনীর জেনারেল স্টাফের প্রধান জেনারেল ভ্যালেরি গেরাসিমভকে ইউক্রেনে অভিযানের ভার দিয়েছেন।
এরপর গত শুক্রবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, তারা দোনেৎস্ক অঞ্চলে লবণখনির ছোট শহর সোলেদারের নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হয়েছে। কয়েক সপ্তাহ ধরে এ শহরকে কেন্দ্র করেই রাশিয়া তাদের আক্রমণ শানাচ্ছিল।