সোমবার, ১ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

পশ্চিমবঙ্গের প্রতিষ্ঠা দিবস পয়লা বৈশাখ

রাজ্য সংগীত ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল...’

দীপক দেবনাথ, কলকাতা

পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য দিবস (স্টেট ডে) হিসেবে ‘পয়লা বৈশাখ’কে পালন করার ঘোষণা দিয়েছে মমতা সরকার। যার নামকরণ করা হয়েছে ‘বাংলা দিবস’। আগামী বছরগুলোতে এ নামেই পালিত হবে দিনটি। একই সঙ্গে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল...’ কে রাজ্যসংগীত (স্টেট সং) করারও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। গতকাল রাজ্য সরকার এ নির্দেশিকা জারি করেছে। রাজ্যের মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদির স্বাক্ষরিত ওই নির্দেশিকায় জানানো হয় ‘পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সমৃদ্ধ গৌরব, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে বিবেচনা করে ‘বাংলা দিবস’ এবং ‘রাজ্য সংগীত’ ঘোষণার প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয়েছে। প্রতি বছর পশ্চিমবঙ্গের সব মানুষ সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে রাজ্য দিবস উদযাপন করবে।’ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে ‘রাজ্য সংগীত বাজানোর সময় ১ মিনিট ৫৯ সেকেন্ড। এবার থেকে বাধ্যতামূলকভাবে রাজ্যের সব সরকারি অনুষ্ঠানের শুরুতে ‘রাজ্য সংগীত’ এবং ওই অনুষ্ঠানের শেষে ‘জাতীয় সংগীত’ গাওয়া হবে।

যথাযথ সম্মানের সঙ্গে বাজানো হবে। ‘রাজ্য সংগীত’ এবং ‘জাতীয় সংগীত’ বাজানোর সময় সমবেত সবাইকে দাঁড়াতে হবে এবং এ দুই সংগীত গাওয়াতে সব ব্যক্তিদের মনোযোগ বাড়ানোর দিকে জোর দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বরে রাজ্য বিধানসভায় ‘রাজ্য দিবস’ ও ‘রাজ্য সংগীত’ সম্পর্কিত দুটি প্রস্তাবই পাস হয়। রাজ্যের প্রতিষ্ঠা দিবস হিসেবে ‘পহেলা বৈশাখ’ হিসেবে বেছে নেওয়ার কারণ হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী সেসময় জানান ‘বাংলার ক্যালেন্ডারে যে প্রথম দিনটা রয়েছে তা হলো পহেলা বৈশাখ। এ দিন হালখাতার মধ্যে দিয়ে মানুষ তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করে, শুভ কাজের উদ্বোধন করে। সেই পহেলা বৈশাখ দিনটিকে আমরা পশ্চিমবঙ্গ দিবস হিসেবে ঘোষণা করতে চাই। তাছাড়া সাহিত্যিক, ক্রীড়াবিদ, বিদ্বজন, সাংবাদিক, হিন্দু মহাসভা, ইমাম অ্যাসোসিয়েশনসহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষও পহেলা বৈশাখকেই ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ হিসেবে রাখার প্রস্তাব রেখেছেন।’

অন্যদিকে রাজ্যের সংগীত হিসেবে ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’কে বেছে নেওয়ার কারণ হিসেবে মমতা ব্যানার্জি জানান ‘বাংলার একটা নিজস্ব সংগীত থাকা উচিত, যেটা অন্য রাজ্যেরও আছে।

সর্বশেষ খবর