ভারতে নিষিদ্ধ জামাতে ইসলামী নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য ভারত সরকারের কাছে আবেদন করেছে। তারা এবার কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত তারা ‘নির্দল’ হিসেবে প্রার্থী দেওয়ার কৌশল নিয়েছে। দলটি দক্ষিণ কাশ্মীরের চার নির্দল প্রার্থীকে সমর্থন করছে। ভারত সরকার ২০১৯ সালে বেআইনি কার্যকলাপে জড়িত থাকার দায়ে জামাতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। চলতি বছর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আরও পাঁচ বছর বাড়িয়ে দেওয়া হয়। রবিবার এক যৌথ সমাবেশে জামাতের লোকরা নির্দল প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনি প্রচারে অংশ নেয়। ৩২ বছর পর এ রকম ঘটনা প্রথম ঘটল। জামাত নেতা গোলাম ওয়ানি সমাবেশে বলেন, এতদিন ভারত সরকারের কেউ আমাদের সঙ্গে কতা বলেনি। এখন আলাপ শুরু হয়েছে। তাই আমরা প্রকাশ্য সমাবেশে এলাম। আমরা কাশ্মীরের প্রথাগত দলগুলোর শোষণমূলক রাজনীতির অবসান চাই অর্থাৎ ফারুখ আবদুল্লার ন্যাশনাল কনফারেন্স ও মেহবুবা মুফতির পিডিপির বিরুদ্ধে লড়তে চাই। কুলগামের নির্দল প্রার্থী সায়ার আহমেদ রেশী বলেন, আমরা হিংসার বিরুদ্ধে। এবার কাশ্মীরে নতুন সূর্যোদয় হবে। তার সূত্রপাত ঘটল। তিনি কমিউনিস্ট পার্টি নেতা ইউসুফ তারিগামীর বিরুদ্ধে প্রার্থী। এ আসন থেকে তারিগামী লাগাতার জয়ী হয়েছেন। অন্য প্রার্থীরা হলেন- জায়ানারা আসনে সাবেক পিডিপি বিধায়ক আয়াজ আহমেদ মির, দেবসার থেকে নাসির আহমেদ এবং পুলওয়ামা থেকে তালাত আহমেদ। ২০১৯ সালে পাকিস্তান আশিত জঙ্গিরা কাশ্মীরে হামলা চালিয়েছিল লোকসভা ভোটের আগে।
বর্তমানে জামাতের বহু নেতা কারাবন্দি এবং এদের অনেকের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর এই চার আসনে ভোট হবে।
সভায় জামাত নেতারা বলেছেন তারা অবশ্যই কাশ্মীরের কথা বলবেন এবং স্বচ্ছ রাজনীতি করতে চান। দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়তে চান।
ইতোমধ্যে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং জম্মুতে এক সভায় বলেন- ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে মৈত্রী চায়। তবে শর্ত হলো তাদের জঙ্গিবাদকে প্রশ্রয় দেওয়া বন্ধ করতে হবে। তিনি বলেন বন্ধু বদলানো যায়। প্রতিবেশী নয়।