অভিবাসীদের জন্য স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পাওয়ার নিয়ম কঠোর করার পরিকল্পনা করছে যুক্তরাজ্য। দেশটিতে স্থায়ী হতে আগ্রহী অভিবাসীদের একটি চাকরি থাকতে হবে, কোনো ধরনের ভাতা দাবি করা যাবে না এবং তাদের কমিউনিটি সেবামূলক কাজ করতে হবে। গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘোষণায় এমন পরিকল্পনার কথা জানানো হয়েছে। রবিবার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স। বর্তমানে যাদের পরিবার যুক্তরাজ্যে রয়েছে এবং যারা পাঁচ বছর ধরে সেখানে বসবাস করছে, তারা ‘অনির্দিষ্টকালীন থাকার অনুমতি’ বা স্থায়ী বসবাসের জন্য যোগ্য। যারা যে কোনো ধরনের ভিসায় ১০ বছর আইনত যুক্তরাজ্যে অবস্থান করেছেন তারাও। -রয়টার্স
এ যোগ্য ব্যক্তিরা যুক্তরাজ্যে বসবাস, কাজ, পড়াশোনা ও সরকারি ভাতা পাওয়ার অধিকার অর্জন করেন এবং পরবর্তীতে ব্রিটিশ নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারেন। তবে নীতিগতভাবে এক বড় পরিবর্তনের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাবানা মাহমুদ সোমবার পরিকল্পনা ঘোষণা করবেন। নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, ‘অভিবাসীদের সামাজিক নিরাপত্তায় অবদান প্রদানের প্রমাণ, অপরাধমুক্ত রেকর্ড ও কোনো ধরনের সরকারি ভাতা না নেওয়ার শর্ত পূরণ করতে এবং তাদের সম্প্রদায়ে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করতে হবে।’ লেবার পার্টির সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গতকাল লেবার পার্টির বার্ষিক সম্মেলনে এ পরিকল্পনা ঘোষণা করবেন। সরকার এ বছরের শেষের দিকে এ পরিবর্তন নিয়ে জনমত যাচাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু করবে। এ ঘোষণা এমন এক সময়ে এসেছে, যখন কট্টর-ডানপন্থি বিরোধী দল রিফর্ম পার্টি বলেছে যে ‘অনির্দিষ্টকালীন থাকার অনুমতি’ সম্পূর্ণরূপে বাতিল করা হবে এবং অভিবাসীদের প্রতি পাঁচ বছর পরপর নতুন ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। দলটি বর্তমানে জাতীয় জরিপে এগিয়ে রয়েছে। যারা ইতোমধ্যে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পেয়েছেন, এটি তাদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে। প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার রবিবার রিফর্মের পরিকল্পনাকে ‘বর্ণবাদী’ বলে অভিহিত করে বলেন, এটি ‘দেশকে ছিন্নভিন্ন করে দেবে।’ যুক্তরাজ্যে অভিবাসন একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। শাবানা দলের সদস্যদের সতর্ক করেন যে এ সমস্যার সমাধান না হলে ‘কর্মজীবী মানুষ আমাদের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে এবং রিফর্ম নেতা নাইজেল ফারাজের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি অনুসরণ করবে’।