ভারতের সঙ্গে নতুন বাণিজ্য চুক্তির খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার এ কথা বলেছেন। তিনি বলেন, এই চুক্তি দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা সম্পর্ক জোরদার করবে, যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি রপ্তানি বাড়াবে এবং গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন খাতে বিনিয়োগকে উৎসাহিত করবে।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা একটি ন্যায্য চুক্তি পাচ্ছি-কেবল একটি ন্যায্য বাণিজ্য চুক্তি।’ হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে ভারতে নতুন রাষ্ট্রদূত সার্জিও গোরের শপথ অনুষ্ঠানে ট্রাম্প এসব কথা বলেন। ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা ভারতের সঙ্গে একটি চুক্তি করছি, যা আগের চুক্তিগুলোর থেকে অনেক আলাদা।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছি।’ আগস্টে ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যের ওপর শুল্ক ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর পর ওয়াশিংটন ও নয়াদিল্লির সম্পর্ক তীব্রভাবে অবনতি ঘটে। মার্কিন কর্মকর্তারা তখন অভিযোগ করেন, ভারত রাশিয়ার সস্তা তেল কিনে মস্কোর ইউক্রেন যুদ্ধকে পরোক্ষভাবে সহায়তা করছে। গত মাসে প্রকাশিত একাধিক সংবাদে বলা হয়, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র একটি দীর্ঘদিনের অচলাবস্থা কাটিয়ে নতুন এক বাণিজ্য চুক্তির পথে এগোচ্ছে। এর আওতায় যুক্তরাষ্ট্র ভারতীয় আমদানির ওপর শুল্ক ৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ থেকে ১৬ শতাংশে নামিয়ে আনতে পারে। ভারতের অর্থনৈতিক দৈনিক মিন্ট জানায়, তিনটি সূত্রের বরাতে যে প্রস্তাবিত চুক্তিটি মূলত জ্বালানি ও কৃষি খাতে কেন্দ্রীভূত, তাতে ভারত ধীরে ধীরে রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানি কমাতে পারে। ট্রাম্প আরও জানান, তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বাণিজ্য ইস্যুতে কথা বলেছেন। -রয়টার্স ও এনডিটিভি
তিনি বলেন, ‘আমাদের আলোচনায় জ্বালানি বিষয়টিও এসেছে এবং মোদি আমাকে আশ্বস্ত করেছেন যে, ভারত রাশিয়া থেকে তেল কেনা সীমিত করবে।’ অন্যদিকে মোদিও নিশ্চিত করেছেন যে দুই নেতা কথা বলেছেন। তবে আলোচনার বিস্তারিত প্রকাশ করেননি। তিনি এক্সে লিখেছেন, ‘আপনার ফোন কল ও দীপাবলির উষ্ণ শুভেচ্ছার জন্য ধন্যবাদ, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এই আলোর উৎসবে আমাদের দুই মহান গণতন্ত্র যেন আশা দিয়ে বিশ্বকে আলোকিত করে এবং সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়ায়।’