কিছু মানুষ প্রকাশ্যে সরাসরি হারাম উপার্জনে লিপ্ত। তার অন্য কোনো বৈধ উপার্জন নেই। এমন ব্যক্তি যদি হাদিয়া বা আর্থিক সাহায্য দেয় তা হলে হারাম থেকে হয়েছে বলেই ধর্তব্য হবে।
হারাম ভক্ষণের ব্যাপারে পবিত্র কোরআন ও হাদিসে কঠোর হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। অন্যের থেকে পাওয়া উপহার-উপঢৌকনের ব্যাপারেও একই বিধান। মানে কেউ হারাম সম্পদ থেকে উপহার দিলে তা গ্রহণ করা জায়েজ হবে না।
আর যদি কেউ এমন হন, যার উপার্জন হালাল-হারাম মিশ্রিত। তিনি যদি কোনও কিছু হাদিয়া দেন এবং জানা যায় যে তা হালাল মাল থেকে দিয়েছেন, তাহলে তা নেওয়া বৈধ। পক্ষান্তরে তিনি যদি হারাম মাল থেকে দেন এবং এটা জানা যায়, তাহলে তা গ্রহণ করা বৈধ হবে না।
আর যদি হাদিয়া কোন মাল থেকে দিয়েছেন, সেটি জানা যায়নি। এক্ষেত্রে তার অধিকাংশ উপার্জন যদি হালাল হয়, তাহলে তা গ্রহণ করা যাবে। আর যদি তার অধিকাংশ উপার্জন হালাল না হয়ে থাকে, তাহলে তার হাদিয়া গ্রহণ করা যাবে না।
তথ্যসূত্র : মাবসূত, সারাখসী ১০/১৯৭, খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৪/৩৪৮ ও ফাতাওয়া খানিয়া।
বিডি প্রতিদিন/মুসা