সরকারি স্তরে কলকাতায় প্রথম কোনও হাসপাতালে চালু হতে চলেছে টেস্ট টিউব বেবি সেন্টার। কলকাতার ইনস্টিউট অফ পোস্ট গ্র্যাজু্য়েট মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (আইপিজিএমইআর) বা এসএসকেএমে গড়ে তোলা হবে এই কেন্দ্র। কোনও হাসপাতালে টেস্ট টিউব বেবি সেন্টার সংযোজন এটাই হবে প্রথম। পাশাপাশি দেওয়া হবে পোস্ট ডক্টরাল ডিগ্রিও।
একদিকে যেমন চলবে গবেষণা, অন্যদিকে দেওয়া হবে ডিগ্রিও৷ এরফলে, সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের শহর কলকাতার হাত ধরেই টেস্ট টিউব বেবি তৈরির জন্য দেশ এগিয় যাবে বলে মনে করছেন বিষেশজ্ঞমহল।
মাস দুয়েক আগে এসএসকেএমের গভর্নিং বডির এবং হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির যৌথ বৈঠকে মেডিক্যাল এডুকেশন, গবেষণার জন্য টেস্ট টিউব বেবি সেন্টার এবং এমারজেন্সি মেডিসিন বিভাগ চালুর প্রস্তাব রাখা হয়েছিল ৷ সেখানে এই বিষয়ে প্রস্তাবটি গৃহিত হয়। সংশ্লিষ্ট বিভাগ দু’টি চালুর বিষয়ে সবুজ সংকেতও দেওয়া হয় ওই বৈঠকে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, আইপিজিএমইআরের ডিরেক্টর প্রদীপ মিত্র, স্বাস্থ্য সচিব মলয় দে সহ অন্যান্য আধিকারিকরা।
প্রস্তাবটি গৃহীত হয়েছে বলে সম্মতি জানিয়ে ডা. প্রদীপ মিত্র বললেন, এই মুহূর্তে কিছু করা সম্ভব নয়, ধাপে ধাপে কাজ এগনো হবে। হাসপাতালের স্ত্রীরোগ বিভাগে যথেষ্ট জায়গা আছে। সেখানেই করা হবে প্রস্তাবিত এই টেস্ট টিউব বেবি সেন্টার।
এই সেন্টার গড়ে তোলার প্রসঙ্গে রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বললেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নিদের্শ অনুযায়ী রাজ্যে চিকিৎসা পরিষেবার মান উন্নয়নের জন্য নতুন এই সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে।
চিকিৎসক সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের গবেষণার ফসল হিসেবে দেশের প্রথম টেস্ট টিউব বেবি ‘দুর্গার’ জন্য শহর কলকাতা আজও গর্বিত। কিন্তু, তারপরেও তাকে অনেক হেনস্থার সম্মুখিন হতে হয়েছিল। তা সবটাই এখন ইতিহাসের পাতায়।
এসএসকেএম হাসপাতালের এক আধিকারিক জানান, ইমারজেন্সি মেডিসিন বিভাগটি দিল্লির এইমসে শুধুমাত্র রয়েছে।
অন্যদিকে, সরকারিস্তরে এখনও পর্যন্ত দেশের কোথাও টেস্ট টিউব বেবি সেন্টার নেই। ভবিষ্যতে এই রাজ্যের একমাত্র সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল এসএসকেএমে এই সেন্টার চালু হলে, সাধারণ মানুষ অনেক কমখরচে এই পরিষেবা নিতে পারবেন বলে আশাবাদী চিকিৎসক মহল।
কলকাতার আইপিজিএমইআরে টেস্ট টিউব বেবি সেন্টার গড়ার প্রস্তাব যাতে সিদ্ধান্তের মধ্যেই যাতে আটকে না থাকে, সেটাই চাইছেন চিকিৎসকমহল।