কলকাতার এন্টালির লোরেটো স্কুলের সামনে সকালে গুলিবিদ্ধ হন এক যুবক। মোটরসাইকেল আরোহী দুই যুবক গুলি চালিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। সেই সময় শিশুদের নিয়ে স্কুলের সামনে জড়ো হতে শুরু করেছেন অভিভাবকেরা। কেউ কেউ স্কুলে ঢুকতেও শুরু করেছেন। হঠাৎ গুলির শব্দে চমকে ওঠেন সবাই। রাস্তার পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে কাতরাতে থাকা যুবককে দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
জানা যায়, ঘটনাস্থল থেকে ১০০ মিটার দূরে একটি বন্ধ চটকলের সামনে আগের দিন রবিবার রাত থেকেই পুলিশ মোতায়েন ছিল। অভিযোগ উঠেছে, গুলি চলার পরেও তড়িঘড়ি তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছাননি। পুলিশ কেন দুর্বৃত্তদের ধাওয়া করেনি তার উত্তর দিতে চাননি কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দাপ্রধান (২) নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী। তবে যুগ্ম কমিশনার (সদর) সুপ্রতিম সরকার বলেন, ‘‘বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
পুলিশ সূত্রে খবর, গুলিবিদ্ধ যুবক বাচ্চা কাল্লু তার ভাতিঝিকে স্কুলে দিতে এসেছিলেন। তার পায়ে গুলি লেগেছে। এনআরএসে ভর্তি রয়েছেন তিনি। এই ঘটনায় মহম্মদ মুস্তাকিন ওরফে লম্বা বাবলু, ইলিয়াস, আয়ুবসহ স্থানীয় চার সন্ত্রাসীর নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে বাবলুর মোটরবাইকটি। তবে রাত পর্যন্ত এই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি। তদন্তকারীদের দাবি, কাল্লুও দাগী সন্ত্রাসী। মাস দুয়েক আগে জেল থেকে জামিনে ছাড়া পেয়েছেন তিনি।
এদিকে, কলকাতায় স্কুলের সামনে এমন ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অভিভাবকেরা। অনেকই পড়ুয়াদের বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যান। আতঙ্কিত অভিভাবকদের কথায় সন্ত্রাস দমনে এন্টালি থানার ব্যর্থতার কথা উঠে এসেছে। আফতাব আলম নামে এক অভিভাবক বলেন, ‘‘সাতসকালে স্কুলের সামনে এমন ঘটনা আগে কখনও শুনিনি। মেয়েকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।’’ আর এক অভিভাবকের মন্তব্য, ‘‘শিশুদের সামনে এমন ঘটনা ঘটলে ওদের মনের উপরে কতটা চাপ পড়ে বলুন তো!’’
বিডি-প্রতিদিন/ ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/ রশিদা