আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষ্যে দিল্লি থেকে বিজেপি নেতারা পশ্চিমবঙ্গে এসে বাংলাকে অপমান করছেন বলে এবার অভিযোগ করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মঙ্গলবার নির্বাচনী সভায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, "যারা বাংলাকে অপমান করে, তারাই আমার শত্রু৷ এ মাটি রবীন্দ্র-নজরুলের মাটি৷ এখানে এসব মানুষ মেনে নেবে না৷"
সিপিএম-কংগ্রেসকে জবাব দিয়ে মমতা বলেছেন, "ওরা বলছে, বিজেপির সঙ্গে আমাদের নাকি বন্ধুত্ব আছে! মনে রাখতে হবে তৃণমূল ধর্মনিরপেক্ষ শক্তি৷ কোন সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে তার বন্ধুত্ব হতে পারে না৷ ওরা মিথ্যা বলছে৷"
প্রথমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাজ্যে প্রচারে এসে আক্রমণ করেন মমতাকে৷ এমনকি, এ রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়েও সমালোচনা করেন৷ এরপর এদিনই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ তৃণমূলকে আক্রমণ করেন৷ শুধু তাই নয়, তিনি বলেন, ‘‘বোমার শব্দে শোনা যায় না রবীন্দ্রসংসীত৷" মমতা আগের দিন যেমন মোদির নাম করেননি, এদিন অমিতের নামও করেননি৷ ঘটনাচক্রে মমতার প্রচার এদিন শেষ হয় পুরুলিয়ায়৷ আর সেই পুরুলিয়াতেই এসেছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সভাপতি অমিত শাহ৷ মুখ্যমন্ত্রী এদিনও বিজেপি শাসিত ঝাড়খণ্ড ও ছত্তিশগড়ের মতো রাজ্যের উদাহরণ তুলে ধরে, কী কাজ সেখানে হয়েছে, তা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন মোদি-অমিতকে৷
মমতা এদিন এও বুঝিয়ে দেন, বাংলার বিরুদ্ধে যারা কথা বলছে, তাদের শাসিত রাজ্যে কোন শান্তি নেই৷ প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, "জঙ্গলমহল বারুদের উপর দাঁড়িয়েছিল৷ শান্তি ফিরিয়েছি তো আমরাই৷" উন্নয়নের প্রশ্নেও আবার মোদি-অমিতকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন মমতা৷
তিনি বলেন, "দু' টাকা কেজি চাল দিয়েছে বাংলাই৷ কই গুজরাট তো দেয়নি! মধ্যপ্রদেশ তো দেয়নি! উত্তরপ্রদেশ তো দেয়নি! দু'টাকা কেজি চাল দেওয়ার ক্ষমতা রাখে আমাদের সরকার৷ তা হলে সমালোচনা করছেন কোন মুখে?" তিনি আরও বলেন, "দিল্লি থেকে কিছু নেতা রাজ্যে এসে বড়বড় কথা বলছে৷ আর কলকাতায় পটে সাজানো নেতারা তাতে তাল দিচ্ছে। রবীন্দ্রসঙ্গীত নিয়ে বাংলাকে অপমান মানবো না৷"
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
বিডি-প্রতিদিন/৩০ মার্চ, ২০১৬/মাহবুব