আগামী ৪ এপ্রিল প্রথম দফার প্রথম পর্বের ভোট গ্রহণ শুরু হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের জঙ্গলমহলের ১৮ টি আসনে। তার আগে আজ শনিবার সন্ধ্যায় শেষ হল নির্বাচনী প্রচারণা। প্রচারণার শেষ দিনে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস থেকে শুরু করে বিজেপি, বাম-কংগ্রেস ও স্বতন্ত্র দলের প্রার্থীরা যে যার মতো করে প্রচারণায় ঝড় তুলেছিল।
ইতিমধ্যেই বিজেপি'র প্রচারণায় এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, দলের সভাপতি অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি, দলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক সিদ্ধার্থ নাথ সিং প্রমুখ।
পিছিয়ে ছিল না বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থীরাও। জোট প্রার্থীদের হয়ে কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গান্ধী, সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অধীর রঞ্জন চৌধুরী, কংগ্রেস সাংসদ রাজ বব্বর, সিপিআইএম’এর পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র প্রত্যেকেই প্রচারণা করেছেন।
তবে সবাইকে টেক্কা দিয়ে প্রচারণায় কিছুটা হলেও এগিয়ে ছিল তৃণমূল। জঙ্গমহলের ভোটারদের মধ্যে আস্থা অর্জন করতে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে একাধিক জায়গায় প্রচার সেরেছেন দলের নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়, এছাড়াও দফায় দফায় দলের সহ-সভাপতি মুকুল রায়, দলের সেলিব্রিটি সাংসদ দেব, মুনমুন সেন, শতাব্দী রায় প্রত্যেকেই দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচারণায় অংশ নিয়েছিলেন।
মাওবাদী অধ্যুষিত পুরুলিয়া (৯), পশ্চিম মেদিনীপুর (৬) ও বাঁকুড়া (৩) জেলার ১৮ টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হবে সকাল ৭ টায় কোনরকম বিরতি ছাড়াই চলবে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত। এই পর্বে মোট ভোটারের সংখ্যা ৪০,০১,৪২৯। ভোটগ্রহণ কেন্দ্র থাকছে ৪৯৪৫ টি। এই দফায় ১৩৩ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারন হবে। প্রধান লড়াই হবে শাসকদল তৃণমূল, বিজেপি এবং বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থীর মধ্যে।
হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন ঝাড়গ্রাম কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী রাজ্যটির মন্ত্রী ড. সুকুমার হাঁসদা, নয়াগ্রামের বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী সাবেক সাংসদ পুলিন বিহারী বাস্কে, শালবনী কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শ্রীকান্ত মাহাতো, ঝাড়গ্রাম কেন্দ্রের ঝাড়খন্ড পার্টি (নরেন গোষ্ঠী)-এর প্রার্থী চুনিবালা হাসদা, রঘুনাথপুর কেন্দ্রর ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চা’র প্রার্থী গোবর্ধন বাগদি প্রমুখ।
ভোট সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে নির্বাচন কমিশন যাবতীয় প্রস্তুতি প্রায় সেরে ফেলেছে। আইনশৃঙ্খলা পারিস্থিতি থেকে শুরু করে বেআইনি অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার-সবদিকেই নজর রাখছে তারা। এই তিন জেলা মাওবাদী প্রভাবিত বলে সেখানে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। হেলিকপ্টারের পাশাপাশি ড্রোনেও নজরদারি চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। একাজে দুইটি হেলিকপ্টারকে ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দিব্যেন্দু সরকার। পাশাপাশি জরুরী ভিত্তিতে মেডিকেল পরিষেবা প্রদানেরও ব্যবস্থা থাকছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ০২ এপ্রিল ১৬/ সালাহ উদ্দীন