এতদিন এই ছবি দেখা যেত ভারতের বিহার কিংবা উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে। কিন্তু সীমানা পেরিয়ে সেই হাওয়া লেগেছে পশ্চিমবঙ্গেও। এবার কারাগারে থেকেই নির্বাচনে লড়াই করবেন রাজ্যটির সাবেক পরিবহন ও ক্রিড়ামন্ত্রী মদন মিত্র। রাত পোহালেই সোমবার চতুর্থ দফায় পশ্চিমবঙ্গের ৪৯টি আসনে বিধানসভার নির্বাচন। এই দফায় উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার কামারহাটি থেকে তৃণমূলের টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন হেভিওয়েট প্রার্থী মদন মিত্র।
গত ১৫ মাস ধরে কারাগারে বন্দি আছেন তৃণমূলের এই হাইপ্রোফাইল নেতা। প্রায় এক মাস আগে কামারহাটি কেন্দ্র থেকে মমতা বন্দোপাধ্যায় তাঁর এক সময়ের বিশ্বস্ত সেনাপতির নাম ঘোষণার পরই নতুন উদ্যামে কাজ শুরু করে দেন মদন মিত্র। কারাগারের মধ্যে বসেই রোজ সকালে পূজা সেরে খুঁটিয়ে পত্রিকা পড়েন। বাকি সময়টা টেলিভিমনের সামনেই কাটান তিনি। বেশ কয়েক মাস ধরেই এমনটা চলছে বলে খবর। সরাসরি নির্বাচনী ময়দানে নেমে নির্বাচনের কাজ না সামলালেও কামারহাটির সমস্ত কাজ মদনের নির্দেশে মেনেই হচ্ছে বলে লোকমুখে শোনা যায়।
কারাগারে থেকেই নির্বাচনের প্রতিটি খোঁজখবর নিচ্ছেন মদন। কখন কি করতে হবে-সবই নির্দেশ দিচ্ছেন চার দেওয়ালের মধ্যে থেকেই। তাঁর নির্দেশে কর্মীরা দিন-রাত এক করে প্রচারণা থেকে শুরু করে পোস্টারিং, দেওয়াল লিখন, মিছিল, পদযাত্রা সবকিছুই করেছেন। মদনের হয়ে প্রচারণা করে গিয়েছেন তৃণমূল প্রধান মমতাও। জয় নিশ্চিত করতে নিজের স্ত্রী, দুই ছেলে ও ছেলের বৌকেও নির্বাচনী ময়দানে নামিয়েছেন মদন মিত্র।
এই কেন্দ্র থেকেই তাঁকে টক্কর দিতে তৈরি আছেন সিপিআইএম’এর সাবেক বিধায়ক মানস মুখার্জি ও বিজেপি’র কৃশানু মিত্র। কিন্তু বিরোধীরা যে তাঁর কাছে কোন বাধাই নয় সেকথা হাবেভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন মদন।
সূত্রে খবর ভোটের চব্বিশ ঘন্টা আগে শনিবার আলিপুর কারাগারে স্বামীর সাথে দেখা করতে আসেন স্ত্রী অর্চনা মিত্র। স্ত্রীকে নাকি তিনি বলেছেন ‘ছেলেদের তৈরি থাকতে বলে দাও, আগামী ১৯ মে ওদের সাথে আবির খেলবো’।
বিডি-প্রতিদিন/২৪ এপ্রিল, ২০১৬/মাহবুব