ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শাসন ক্ষমতা কার হাতে থাকবে?-এই প্রশ্নের উত্তরের খোঁজেই বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে রাজ্যটির ২৯৪টি বিধানসভা আসনের ভোট গণনা। ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে দিয়েই রাজ্যের ৯০টি গণনা কেন্দ্রে চলছে ভোট গণনা। কমিশনের গাইড লাইন অনুযায়ী প্রথমে পোস্টাল ব্যালট গোনা হয়, এরপর ইভিএম’এর ভোটগুলোর গণনা শুরু হয়। তবে ফলাফলে যে অবস্থা তাতে আবারও ক্ষমতায় বসায় অপেক্ষায় মমতা ব্যানার্জি। শেষ খবর অনুযায়ী, ২৯৪ আসনের মধ্যে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস এগিয়ে রয়েছে ২১৩টি আসনে, বাম-কংগ্রেস জোট এগিয়ে রয়েছে ৭০টিতে। বিজেপি মাত্র ৭টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
বাংলাদেশ প্রতিদিনের কলকাতা প্রতিনিধি জানান, কলকাতার যাদবপুরে কেন্দ্রে এগিয়ে রয়েছে জোট প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী, জোঁড়াসাকোয় এগিয়ে রয়েছে বিজেপি প্রার্থী রাহুল সিনহা, ময়ুরেশ্বরে বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় এগিয়ে রয়েছেন, নারায়ণগড়ে এগিয়ে রয়েছে জোট প্রার্থী সূর্যকান্ত মিশ্র।
প্রায় এক মাস ধরে পশ্চিমবঙ্গে ছয় দফার সাতটি পর্বে চলে ভোট প্রক্রিয়া। গত ৪ এপ্রিল শুরু হয় প্রথম দফার প্রথম দিনের ভোট, শেষ দফার ভোট হয় ৫ মে। নির্বাচনকে ঘিরে একাধিক জায়গায় সহিংসতার ঘটনা ঘটে, প্রাণহানিও ঘটে কয়েকজনের।
২০১১ সালের বিধানসভার ৩৪ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এরপর গত পাঁচ বছরে উপনির্বাচন, পঞ্চায়েত নির্বাচন, পৌরসভা, লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের বিজয়রথ অব্যাহত থাকে। এবারের বিধানসভা নির্বাচনের পরেও বুথ ফেরত জরিপে দেখা গেছে নির্বাচনের ফলাফল তৃণমূলের দিকেই যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত ফলাফলের যে অবস্থা তাতে মমতার দিকে পাল্লাটা বেশ ভারি। তবে চূড়ান্ত ফলাফলের জন্য বিকাল তিনটা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
বিডি-প্রতিদিন/১২ মে, ২০১৬/মাহবুব
