সুযোগ পেলে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চুরি যাওয়া নোবেল পদক খুঁজে বের করতে চান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার শান্তিনিকতন সফরে গিয়ে নোবেল চুরির প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী একথা বলেন।
এদিন বিকেলে বিশ্বভারতীর ‘লিপিকা’য় একটি সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি জানি সিবিআই তদন্ত করছে। কিন্তু ওরা না পারলে আমি যদি সুযোগ পাই খুঁজে বের করবোই। তার কারণ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শুধু বাংলার সম্মান নয়, পুরো বিশ্বের। আমি এই কথাগুলো বললাম এই কারণে... হয়তো আমি নাও বলতে পারতাম। কিন্তু বলছি যে রবীন্দ্রনাথ মানেই একটা সেন্টিমেন্ট (আবেগ)। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতি এই সেন্টিমেন্ট না থাকলে আমি নিজেকে মানুষ বলে মনে করি না’।
প্রসঙ্গত, গীতাঞ্জলী কাব্যের জন্য ১৯১৩ সালে বাঙালির প্রথম নোবেল জয় এসেছিল বিশ্বকবির হাত ধরে। রবিঠাকুরের সেই পদকটি রাখা হয়েছিল তাঁর নিজের হাতে গড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বীরভূম জেলার শান্তিনিকতনের বিশ্বভারতীয় জাদুঘরে। কিন্তু ২০০৪ সালের ২৫ মার্চ রাতে জাদুঘর থেকে রহস্যজনকভাবে নোবেল পদকসহ চুরি যায় কবির ব্যবহার করা বেশকিছু মুল্যবান জিনিস। এরপর বিষয়টি জানাজানি হতেই হইচই পড়ে যায়। তদন্তে নামে জেলা পুলিশ। পরে তদন্তে নামে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। কিন্তু এখনও পর্যন্ত হারিয়ে যাওয়ার সেই পদক চুরির রহস্য উন্মোচন হয়নি। যদিও তার বদলে একটি রেপ্লিকা রাখা আছে জাদুঘরে।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আপনারা যখনই ডাকবেন তখনই বিশ্বভারতীতে আসবো। সমস্যা হলেই আমাকে জানান। কখনও তো সাহায্য চাননি। সাহায্য চাইতে চাইতে হয়তো আপনাদের ভাষা ফুরিয়ে যাবে কিন্তু আমার ভাণ্ডার ফুরোবে না’।
বিডি-প্রতিদিন/ ০৪ আগস্ট, ২০১৬/ আফরোজ