একই এলাকার যুবকের সঙ্গে বন্ধুত্ব, তারপর ঘনিষ্ঠতা। স্বামীর অনুপস্থিতিতে তার সঙ্গে একান্তে সময় কাটানো, অন্তরঙ্গ মুহূর্ত, এইভাবেই চলছিল ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনার গাইঘাটার বাসিন্দা পল্লিমা বসুর। কিন্তু গত মঙ্গলবার রাতেই ঘটে গেল মর্মান্তিক ঘটনা।
গাজনার বাসিন্দা পেশায় গাড়িচালক মলয় বসুর সঙ্গে পল্লিমার দাম্পত্য ১৭ বছরের। তাদের দুই সন্তানও রয়েছে। প্রতিবেশীদের অভিযোগ, পল্লিমা কিছুদিন ধরে সুজয় নামে একটি ছেলের সঙ্গে ইদানীং বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।
কাজের জন্য মাঝেমধ্যেই বাইরে থাকতেন মলয়। সেই সুযোগকেই সুজয়কে ফাঁকা বাড়িতে ডেকে নিতেন পল্লিমা। মঙ্গলবার রাতে কোনও খবর না দিয়েই বাড়িতে ফিরে যান মলয়। ঘরের দরজা খুলতেই নিজের স্ত্রীকে বিছানায় ঘনিষ্ঠ অবস্থায় অন্য এক পুরুষের সঙ্গে দেখতে পান তিনি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এরপরই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। চিৎকার-চেঁচামেচির সময়েই মলয়ের কথায় উঠে আসে স্ত্রী পল্লিমার কুকীর্তির কথা। আভাস আগেই পেয়েছিলেন, মলয়ের কথাতে আরও নিশ্চিত হন প্রতিবেশীরা।
স্থানীয়দের দাবি, মঙ্গলবার অনেক রাত পর্যন্ত ঝগড়া চলে বসু পরিবারে। রাতে পল্লিমার কান্নার ঘুম শুনে মলয়ের বাড়িতে যান প্রতিবেশীরা। তারা বিছানায় মৃত অবস্থায় দেখতে পায় মলয়কে। পরে পুলিশ গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, পল্লিমাই তাকে বিষ খাইয়েছেন। পল্লিমাকে আটক করেছে পুলিশ।
বিডি প্রতিদিন/ আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর