ভারতের আসাম রাজ্যের ‘জাতীয় নাগরিক পঞ্জি’র (এনআরসি) চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়তে চলেছে ১০ হাজার ব্যক্তির নাম।
গত বছরের ৩১ আগস্ট আসামে এনআরসি’র চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়। এনআরসি’র কাছে জমা পড়া ৩ কোটি ২৯ লাখ আবেদনকারীর মধ্যে তালিকায় ঠাঁই হয় প্রায় ৩.১১ কোটি মানুষের নাম। আর তালিকা থেকে বাদ পড়ে ১৯ লাখেরও বেশি নাগরিকের নাম। কিন্তু এই সম্পর্কিত কোন বিজ্ঞপ্তি দেয়নি ‘রেজিস্টার জেনারেল অব ইন্ডিয়া’। ফলে সেই তালিকার কোন আইনত বৈধতা নেই। তাই প্রয়োজনে সেই তালিকায় এখনও বদল করা যায়।
এই মর্মে গত ১৩ অক্টোবর রাজ্যটির ৩৩ টি জেলার ডেপুটি কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের নির্দেশিকা পাঠিয়েছেন রাজ্যটির এনআরসি’র কোঅর্ডিনেটর ও সিনিয়র কর্মকর্তা হিতেশ দেবশর্মা। তিনি জানান, এখনও পর্যন্ত যে তথ্য আমার কাছে এসেছে তাতে বিদেশি নাগরিক বলে চিহ্নিত ব্যক্তি, সন্দেহজনক ভোটার এবং ফরেন ট্রাইব্যুনালসের মুখোমুখি হননি-এমন ব্যক্তি ও তাদের বংশধরদের নাম এনআরসি তালিকায় পাওয়া গেছে।
দেবশর্মার অভিমত ‘স্থানীয় প্রশাসন (লোকাল রেজিস্টার অব সিটিজেনস রেজিস্ট্রেশন) চূড়ান্ত এনআরসি’র তালিকা প্রকাশের আগে যে কোনও সময় উপযুক্ত নথি ও প্রমাণের ভিত্তিতে নাম বাদ দেওয়া বা যুক্ত করার কাজ করতে পারে।’
এনআরসি তালিকা তৈরির কাজে যুক্ত জেলার শীর্ষ কর্মকর্তাদেরকে উদ্দেশ্য করে দেবশর্মা আরও লেখেন ‘অবাঞ্চিত মানুষদেরকে চিহ্নিত করে শিগগির তাদের নাম তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে এবং এ ব্যাপারে যেন একটি মৌখিক আদেশ জারি করা হয়। তালিকা থেকে যাদের নাম বাদ পড়বে, তাদের তালিকা যেন দ্রুত সরকারের কাছে জমা পড়ে। সেই সাথে এই নাম বাদ দেওয়ার কারণও স্পষ্ট করে বলা থাকবে ওয়েবসাইটে।’
চিঠিতে কোন নির্দিষ্ট সংখ্যার কথা না বললেও সূত্রের খবর প্রায় ১০ হাজার মানুষের নাম ভুল করে এনআরসি তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। সূত্রের খবর সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষের নামই এই তালিকায় রয়েছে। এবার সেই নামগুলিকেই তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা