পশ্চিমবঙ্গে চলমান বিধানসভা নির্বাচনী প্রচারে দোষারোপ, পাল্টা দোষারোপ চলছেই। সেই পরিস্থিতিতে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপিকে আক্রমণ করতে এবার পুলওয়ামার প্রসঙ্গ টেনে আনলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
মমতা ব্যানার্জির অভিযোগ, পুলওয়ামায় যাদের মারার লক্ষ্য ছিল, তাদের না মেরে নিজেদের লোককে মারা হয়েছিল।
প্রায় দু’বছর আগে জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় ভারতে নিরাপত্তা বাহিনী সিআরপি-র কনভয় লক্ষ্য করে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। এসময় সন্ত্রাসীদের হামলায় ৪০ জন সেনা নিহত হন।
তৃণমূল নেত্রী মমতা সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন নাকি পুলওয়ামা পরবর্তী ভারতীয় বিমানবাহিনীর বালাকোট অভিযানের কথা বোঝাতে চেয়েছেন, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। যদিও বালাকোট অভিযানে ভারতীয় বিমানবাহিনীর কারও হতাহত হওয়ার খবর মেলেনি।
সোমবার শীতলকুচি নিয়ে রাজনৈতিক টানাপড়েনের মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনার রানাঘাটে সভা করেন মমতা ব্যানার্জি। সেখানে শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে ৪ যুবকের জন্য সরাসরি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে দায়ী করেন তিনি। এমনকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও ‘সব জানেন’ এবং তার পরেও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ‘ক্লিনচিট’ দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেন।
সেখানেই পুলওয়ামার ঘটনা টেনে মোদি- অমিত শাহকে আক্রমণ করেন মমতা। তিনি বলেন, ‘পুলওয়ামার ঘটনা আমাদের মনে আছে। যাদের মারতে গিয়েছিলেন, নিজের লোককে মেরে চলে এসেছিলেন। বেশি মুখ খোলাবেন না। আমরা দেশকে ভালবাসি। তাই অনেক কিছু বলি না।’’
২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে ঘটে যাওয়া পুলওয়ামা হামলা নিয়ে দীর্ঘদিন শাসক বনাম বিরোধীদের আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণ দেখেছে গোটা ভারত। ভোটের ময়দানে সেনাবাহিনীর কৃতিত্ব ভাঙিয়ে ভোটবাক্স ভরার অভিযোগ উঠেছে বিজেপি’র শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। উল্টো দিকে, পুলওয়ামার ঘটনায় নিরাপত্তায় গাফিলতি এবং বালাকোট অভিযানের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় বিরোধীদের ‘দেশবিরোধী’ আখ্যা দেন গেরুয়া নেতৃত্ব।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন