দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে উপনির্বাচনে লড়াই করতে পারেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যটির ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান মমতা ব্যানার্জি।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি বিধানসভার নির্বাচনে নিজের পুরনো এই কেন্দ্রটি ছেড়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ‘নন্দীগ্রাম’ কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছিলেন মমতা। তার প্রতিপক্ষ ছিল, বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী ও সিপিআইএম প্রার্থী মীনাক্ষি মুখার্জি। অন্যদিকে, ভবানীপুর কেন্দ্রে প্রার্থী করেন বিশ্বস্ত ও ঘনিষ্ঠ শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে। তার প্রধান প্রতিপক্ষ ছিল বিজেপির প্রার্থী অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ।
রাজ্যে ভোট হওয়া ২৯২টি বিধানসভার আসনের (মোট আসন ২৯৪) মধ্যে ২১৩টি আসন পায় তৃণমূল। ওই নির্বাচনে দল বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে রাজ্যে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এলেও নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে ১৯৫৬ ভোটে পরাজিত হন মমতা। যেখানে শুভেন্দুর প্রাপ্ত ভোট ছিল ১,১০,৭৬৪ সেখানে মমতার প্রাপ্ত ভোট ছিল ১,০৮,৮০৮।
এদিকে, সিপিআইএম প্রার্থী মীনাক্ষি মুখার্জি পান ৬২৬৭টি ভোট। কিন্তু ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে বিরাট ব্যবধানে জয়ী হন শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়। প্রায় ৫৭.৭১ শতাংশ ভোট পেয়ে ওই কেন্দ্রে জয়ী হন তৃণমূলের সিনিয়র নেতা শোভন।
এরপর গত ৫ মে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন মমতা। বিধানসভার পরিষদীয় দলের সভানেত্রী নির্বাচিত করা হয় তাকে। মন্ত্রিসভার বাকী ৪৩ জন সদস্য ১০ মে শপথ নেয়। নিয়ম অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার ছয় মাসের মধ্যেই তাকে কোনও না কোনও কেন্দ্র থেকে জিতে আসতে হয়।
জল্পনা চলছিল মমতা কি তবে নিজের পুরনো কেন্দ্র ভবানীপুর থেকেই ফের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন? এই জল্পনা আরও উস্কে দিয়েছে ওই কেন্দ্র থেকে জয়ী তৃণমূলের বিধায়ক তথা রাজ্যের কৃষি মন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়ের ইস্তফা।
বিধানসভায় গিয়ে আজ শুক্রবার দুপুরে স্পিকার বিমান ব্যানার্জির কাছে নিজের ইস্তফা পত্র জমা দেন। স্পিকার সেই ইস্তফা পত্র গ্রহণও করেন।
বিডি প্রতিদিন / অন্তরা কবির