মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক নয়, এই দাবি করে ‘স্বামী’র কাছ থেকে তাকে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন পরিবারের লোকজন। কিন্তু মেয়ে লুকিয়ে লুকিয়ে বরের বাড়ি যেত। এ কথা জানতে পেরে ‘জামাই’কে মারধর করার পর নিখোঁজ হয়ে যায় মেয়ে। অবশেষে যুগলের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার হল একটি জঙ্গল থেকে।
চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার সিঙ্গুরের বাগডাঙা ছিনামোড় গ্রাম পঞ্চায়েতের দাইপুকুর এলাকায়। মৃতদের নাম রাহুল পোড়েল এবং সঙ্গীতা পোড়েল।
জানা গেছে, ১৯ বছর বয়সী রাহুলের বাড়ি দাইপুকুর এলাকায়। বছর দেড়েক আগে পাশের কালিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা সঙ্গীতাকে বিয়ে করেন তিনি। কিন্তু নাবালিকা মেয়ের বিয়ে মেনে নিতে পারেনি সঙ্গীতার পরিবার। এ নিয়ে কলহ চলছিল দুই পরিবারের মাঝে। মেয়েকে রাহুলের বাড়ি থেকে নিয়ে চলেও যান বাবা-মা। তারপরও যখন তখন রাহুলের বাড়ি চলে আসত সঙ্গীতা। কিছু দিন আগে গ্রামে যাত্রার আসর বসেছিল। গ্রামবাসীদের প্রায় সবাই সেখানে চলে গেলে সঙ্গীতার পরিবার রাহুলের বাড়িতে চড়াও হয় বলে অভিযোগ। মারধর করা হয় রাহুলকে। এমনটাই দাবি তার রাহুলের চাচা অনিল পোড়েলের। এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করে রাহুলের পরিবার।
অন্যদিকে, সঙ্গীতাকে সংশোধনাগারে পাঠিয়ে দেয় তার পরিবার। দিন কয়েক আগে সেখান থেকে বাড়ি ফিরে আবার রাহুলের সঙ্গে যোগাযোগ করে সঙ্গীতা। তারপর গত দু’দিন ধরে দু’জনের খোঁজ মিলছিল না। দুই পরিবার একে অন্যের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে। তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তারপরই আজ মঙ্গলবার সকালে যুগলকে একই দড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান গ্রামবাসীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় সিঙ্গুর থানার পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
বিডি প্রতিদিন/কালাম