ঘটনাটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের জলঙ্গির সাগরপাড়ার। জানা গেছে, তরুণ-তরুণীর ‘বিয়ে’ মেনে নেয়নি পরিবার। এতে দুই পরিবারকে ডেকে থানায় সালিশ বসিয়েও সমাধান হয়নি। এর মাঝেই ‘আক্রান্ত’ হওয়ার আশঙ্কায় পারিয়ে বেড়াচ্ছিল সদ্যবিবাহিত ওই দম্পতি। সেই অপছন্দের জামাইকে ‘ছাগল চোর’ বলে তাড়া করে মারধর করার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে।
মারধরের শিকার জামাই জানান, সম্প্রতি তিনি বিয়ে করেছেন এক তরুণীকে। কিন্তু সেই ‘বিয়ে’ মেনে নেয়নি শ্বশুরবাড়ির লোকজন। যা পরবর্তীতে থানা পর্যন্ত গড়ায়, কিন্তু তাতেও সমাধান হয়নি। এমনকি থানায় সালিশ সভায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি ‘বিপজ্জনক’ হতে পারে তা আঁচ করেই সদ্য বিবাহিত স্ত্রীকে নিয়ে গাড়িতে চড়ে পালানোর চেষ্টা করেন ওই যুবক। এসময় শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে ‘ছাগল চোর’ বলে তাড়া করে গাড়ি থামিয়ে ধরে ফেলে এবং লোকজন ডেকে গণধোলাই দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
যুবকের দাবি, ‘আমার বিয়ে হয়েছে ওই তরুণীর সঙ্গে। আমরা দু’জনেই প্রাপ্তবয়স্ক। কিন্তু বিয়ে মানতে চাইছেন না মেয়ের পরিবার।’ অন্য দিকে, মেয়ের পরিবারের এক সদস্যের পাল্টা দাবি, বিয়ের ব্যাপারে কোনও কথা হয়নি। ওই ছেলেটি মেয়েকে অপহরণ করে পালাচ্ছিল। এলাকার লোকজন দেখতে পেয়ে বাধা দিয়েছেন। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক