১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ১৮:৩৭

আন্তর্জাতিক উরসে যোগ দিতে মেদিনীপুরে বাংলাদেশ থেকে পুণ্যার্থীবোঝাই ট্রেন

দীপক দেবনাথ, কলকাতা

আন্তর্জাতিক উরসে যোগ দিতে মেদিনীপুরে বাংলাদেশ থেকে পুণ্যার্থীবোঝাই ট্রেন

আন্তর্জাতিক উরসে যোগ দিতে মেদিনীপুরে বাংলাদেশ থেকে পুণ্যার্থীবোঝাই ট্রেন

উরস উৎসবে যোগ দিতে ২,২৫৬ পুণ্যার্থী নিয়ে বাংলাদেশ থেকে স্পেশাল ট্রেন শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় এসে পৌঁছাল।

এদিন স্থানীয় সময় ভোর ৫টা নাগাদ মেদিনীপুর স্টেশনে প্রবেশ করে বিশেষ এই ট্রেন। বাংলাদেশের ট্রেন মেদিনীপুর স্টেশনে পৌঁছাতেই তাদের ফুল ও মিষ্টি দিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হয় মেদিনীপুর পৌরসভার তরফে। স্টেশনে তাদের স্বাগত জানিয়ে মেদিনীপুর শহরের উরস উৎসবের দিকে পাঠানো হয়। মেদিনীপুর শহরে মির্জাবাজার এলাকাতে শুরু হয়েছে এই আন্তর্জাতিক উরস উৎসব।

প্রতিবছর এই উৎসবে ভারত, বাংলাদেশ ছাড়াও অন্য দেশ থেকেও লাখো ধর্মপ্রাণ মুসল্লি জমায়েত হয়। তবে সব থেকে বেশি পরিমাণে লোক আসে বাংলাদেশ থেকে। ১৯০২ সাল থেকে ভারত সরকার ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ উদ্যোগে একটি স্পেশাল ট্রেনকে ছাড় দিয়ে মেদিনীপুর পর্যন্ত আনা হয়। যেখানে বাংলাদেশ সরকারের তৈরি এই উরস কমিটি আঞ্জুমান-ই কাদেরিয়ার পক্ষ থেকে সেখানকার পুণ্যার্থীদের সমস্ত নিয়ম মেনে এই উৎসবের শামিল হওয়ার জন্য নিয়ে আসা হয়। উরস উৎসবে যোগ দিতে ২৪ বগির ট্রেন বাংলাদেশ থেকে দর্শনা-গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে, পরে সেই ট্রেন মেদিনীপুরে পৌঁছায়। এই বিশেষ ট্রেনে ২,২৫৬ জন পুণ্যার্থীর মধ্যে পুরুষ ১৩১৫ জন, নারী ৮৫৩ জন, শিশু রয়েছে ৮৪ জন।

আঞ্জুমান ই কাদেরিয়ার সভাপতি মাহাবুল আলম জানান, ১৯০২ সাল থেকে এই মৈত্রীর সম্পর্ক আজও অটুট রয়েছে দুই দেশের। তিন দিনের এই সফর সেরে ১৮ তারিখ রাত ১০টা নাগাদ একই ট্রেনে ফিরে যাবেন পুণ্যার্থীরা। তবে ট্রেন ছাড়াও বাস ও আকাশপথে আরও অনেক বাংলাদেশের পুণ্যার্থীরা এখানে হাজির হয়েছেন।

অভ্যর্থনা জানানোর পর মেদিনীপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে প্রতিবারই বাংলাদেশ থেকে আসা এই সমস্ত পুণ্যার্থীদের জন্য অভ্যর্থনা জানানোর ব্যবস্থা থাকে। এই সঙ্গে পুণ্যার্থীরা উৎসবে সামিল হওয়ার পুরো সময়টা তাদের দেখভালের ব্যবস্থাও করে থাকে মেদিনীপুর পৌরসভা। নিরাপত্তার আয়োজনসহ সমস্তটাই তৈরি করা রয়েছে।’

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর