সোমবার, ৬ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

খাদিজা হত্যাচেষ্টার রায় নারী দিবসে

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

সিলেটে কলেজছাত্রী খাদিজা বেগম নার্গিস হত্যাচেষ্টা মামলার রায় ৮ মার্চ ঘোষণা করা হবে। সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আকবর হোসেন মৃধা গতকাল এ তারিখ ধার্য করেন।

এর আগে বেলা ১১টার দিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে মামলার একমাত্র  আসামি ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলমকে কারাগার থেকে আদালতে নিয়ে আসা হয়। যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে বিচারক রায়ের তারিখ ধার্য করেন। পিপি মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ জানান, মামলার ৩৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে আদালত। সাক্ষ্য-প্রমাণের মাধ্যমে বদরুলের অপরাধ প্রমাণ করা সম্ভব হয়েছে। এ জন্য বদরুলের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত থেকে মামলাটি মহানগর দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তর করা হয়েছে। আগামী ৮ মার্চ বদরুলের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হওয়ার ব্যাপারে আশা প্রকাশ করেন তিনি। তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী সাজ্জাদুর রহমান চৌধুরী আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, ঘটনার দিন বদরুল নেশাগ্রস্ত ছিল। একজন যুবক সিগারেটের মাধ্যমে তাকে নেশাদ্রব্য সেবন করিয়েছিল। তাই ঘটনার দিন থেকে তিন দিন বদরুল অনেকটা অপ্রকৃতস্থ ছিল। বিষয়টি আদালতে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে। আদালত এ বিষয় বিবেচনায় এনে বদরুলকে খালাস দেবে এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি। ১ মার্চ সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম সাইফুজ্জামান হিরোর আদালত থেকে মামলাটি মহানগর দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তর করা হয়। ওই আদালতে আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদানে সীমাবদ্ধতা থাকায় দায়রা জজ আদালতে আসে মামলাটি। গত বছর ৩ অক্টোবর এমসি কলেজের পুকুরপাড়ে সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী খাদিজা বেগম নার্গিসকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র ও শাবি ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলম। ঘটনার পরপরই শিক্ষার্থীরা বদরুলকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। হামলার ঘটনায় খাদিজার চাচা আবদুল কুদ্দুস বাদী হয়ে বদরুলকে একমাত্র আসামি করে মামলা করেন। ৫ অক্টোবর বদরুল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে তাকে কারাগারে প্রেরণ করে আদালত। এ ছাড়া ঘটনার পর শাবি থেকে বহিষ্কার করা হয় বদরুলকে।

সর্বশেষ খবর