সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা
কৃষি সংবাদ

বাড়ির ছাদে কমলা বাগান

বাবুল আখতার রানা, নওগাঁ

বাড়ির ছাদে কমলা বাগান

রাস্তার পাশ দিয়ে যেতেই চোখে পড়বে বাড়ির ছাদে টবে লাগানো কমলার গাছ। ঝুলছে সবুজ আর হলদে  রঙের বড় বড় কমলা। এ ছাড়াও আছে শিম, লাউ, ঝিঙ্গা, লেবু, কাঁচামরিচ। এটি রানীনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের পশ্চিম বালুভরা গ্রামের আফসার আলী প্রামাণিকের ছেলে আবদুল কুদ্দুসের বাড়ির ছাদের উপরে তৈরি করা বাগানের গল্প।

বড় বড় শহরের বাড়ির ছাদে এখন এই শখের বাগান চোখে পড়লেও মফস্বল এলাকায় এই বাগান নেই বললেই চলে। তবে যেভাবে কৃষি ও আবাদি জমির পরিমাণ কমতে শুরু করেছে এক সময় মফস্বলের প্রত্যন্ত এলাকার মানুষও শহরের দেখাদেখি নিজের বাড়ির ছাদে এই বাগান করতে শুরু করবে। এই বাগান সম্পর্কে জানতে প্রতিনিয়ত মানুষ আসছে বলে কুদ্দুস জানান। কুদ্দুস বলেন, ঢাকা শহরের বাড়ির ছাদের ওপর তৈরি করা বাগান আমার খুব ভালো লাগত। বর্তমানে আমাদের আবাদি জমির পরিমাণ দিন দিন কমে যাচ্ছে। তাই আমি, আমার স্ত্রী ও কলেজ পড়ুয়া ছেলে মিলে বাড়ির ফাঁকা ছাদটিতে বাগান করে কাজে লাগিয়েছি। প্রথমে আমার ছেলে শখের বসে বগুড়ার এক নার্সারি থেকে কমলা গাছের চারা এনে টবে লাগিয়েছে। এই ছোট্ট কমলার গাছে প্রায় ২৬টি বড় বড় কমলা ধরেছিল। যার স্বাদ প্রথমে একটু টক হলেও কদিন পর খুব মিষ্টি হয়। এ ছাড়া আমার স্ত্রী মাটির হাঁড়িতে রোপণ করেছে বিভিন্ন রকমের সবজি। নিজেদের চাহিদা পূরণ করে বাগানে উত্পাদিত এই সবজি আশপাশের লোকজনও নিয়ে যায়। বর্তমানে বাজারের প্রতিটি সবজি ও ফল রাসায়নিক দ্রব্য দ্বারা উত্পাদিত কিন্তু আমার এই ছাদের বাগানে উত্পাদিত ফল ও সবজিগুলো বিষমুক্ত। যা মানব শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তাই সবার উচিত বাড়ির ছাদ ফেলে না রেখে বাগান তৈরি করা। এ বিষয়ে রানীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এস এম গোলাম সারওয়ার বলেন, যেভাবে আমাদের আবাদি জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে, তাতে এক সময় গ্রামেও সবাই বাড়ির ফাঁকা ছাদে কুদ্দুসের মতো শখের বাগান তৈরি করতে শুরু করবে। বাড়ির ছাদসহ আশপাশের পড়ে থাকা ফাঁকা জায়গায় যদি আমরা ছোট ছোট আকারের বাগান তৈরি করি তাহলে সেই বাগান থেকে নিজেদের চাহিদা মতো বিষমুক্ত ফল ও সবজি খেতে পারি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর